JB Bangla TV
দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার বা নিজেকে হাইড করে রাখার চিন্তা আসেনি জানিয়ে আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল বলেছেন, অনেকে ভাবতেছেন আমরা দেশ ছাড়ি কি না। আমার মাথায় কখনোই আসেনি এটা।
প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও নিজেকে কখনো হাইড করে রাখিনি। বাংলাদেশ ব্যাংকও দেখেছে যে আমার কোনো অ্যাসেট নেই। তাহলে আমি কী নিয়ে পালাব? নিয়ে যাওয়ার মতো কিছু আমি করি নাই।’ গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) রাতে ইভ্যালির অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে লাইভে এসে এ কথা বলেন তিনি।
আগামীকাল রবিবার থেকে ইভ্যালির অফিস খুলছে। এ বিষয়ে রাসেল বলেন, অনেকে বলছেন, কার্যালয় খুললে ক্রেতারা দলবেঁধে আসবেন, কিছু একটা হবে। অনেকে ওই দিন লাইভ করতে যাচ্ছেন। এভাবে জোর করে যেহেতু বেনিফিট আসতেছে না।
আপনারা চেষ্টা করুন, অ্যাপয়েন্টমেন্টের বাইরে না আসার। রোববার থেকে অন্তত ১৫টা দিন আমাদের সাথে অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়া আসবেন না। গ্রুপ করে আইসেন না। কারণ আপনারা আসবেন পজিটিভ সেন্সে, এইটাকে ক্যাপিটালাইজ করে একটা এক্সিডেন্ট হবে।
আপনাদের ছোট্ট কিছু ভুলের জন্য সবগুলো ব্যাপার এলোমেলো হয়ে যাবে। ব্যাড ইনটেনশনের লোক যখন চান্স নিতে আসবে না, তখন আপনারা আইসেন। গণমাধ্যম প্রসঙ্গে রাসেল বলেন, মিডিয়া ইজ ফ্যান্টাসটিক। কিন্তু মিডিয়াতে যারা কাজ করে তাদের সবাই একরকম নয়।
তাদের মধ্যে দুই একজন যে ব্যাড ইনটেনশনের থাকবে না, সেটা কিভাবে মানি। কেউ কেউ হয়ত শুধু নেগেটিভ জিনিসগুলো হাইলাইট করবেন। তিনি আরও বলেন, অনেকে হয়তো ভাবছে, ইভ্যালি এভয়েড করতে চাচ্ছে কি না। আমি নিজেকে হাইড করতে চাই না।
অনেকে সন্দেহ পোষণ করেন যে আমরা দেশ ছাড়ি কি না। এই বিষয়টা আমার মাথায় কখনোই আসেনি। প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও নিজেকে কখনো হাইড করে রাখিনি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকও দেখেছে আমার কোনো অ্যাসেট নেই। তাহলে আমি কি পালিয়ে যাবো? আর নিয়ে যাওয়ার মতো কোনো কিছুই আমি করিনি।
অনেকে আমার গাড়ি নিয়ে কথা বলে। এটা কিন্তু কোম্পানির নামে। এটাও একটা সম্পদের মতোই এবং যেকোনো সময় বিক্রি করে দেয়ার মতো। এখনও মাসে ১০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হচ্ছে দাবি করে রাসেল বলেন, এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের দুটি পথ খোলা আছে। হয়ত তহবিল সংগ্রহ করতে হবে, নয়ত বিক্রিটা নিয়মিত রাখতে হবে।
আমরা ইক্যুইটি সেল করে ফান্ড রেইজ করব। যমুনা গ্রুপের সঙ্গে আমাদের চুক্তি স্বাক্ষর হয়। বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে সময় লাগবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক নীতিমালার কারণে সাময়িক সমস্যায় পড়ার কথা জানিয়ে ইভ্যালির এমডি বলেন, আমরা বুঝতে পারিনি যে, এভাবে হঠাৎ করে ব্যবসায় পরিবর্তন আসবে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা আমাদের ডিসকাউন্টা কমাচ্ছিলাম। বদলানোর প্রক্রিয়টিা ধীরে ধীরে আসছিলো। যখন সিদ্ধান্তটা হঠাৎ হয়ে গেল তখন কিছু সমস্যা হয়ে যায়। এ সময় গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে রাসেল বলেন, যতই চাপ দেন না কেন চেক দেয়ার সুযোগ বিন্দুমাত্র নেই। আমরা আপনাদের পণ্যই দেব।
আপনারা যদি বলেন চেক না দিলে আর সময় দেব না, তাহলে আর সময়ও চাইতে পারব না। দিলে পরদিনই মন্ত্রণালয় থেকে বড় ধরনের অ্যাকশন চলে আসবে। এখন প্রায়োরেটি পয়েন্ট যাদের বেশি তাদের ডেলিভারিটা প্রথমে হচ্ছে। তাই এখন আপনারা প্রাইরোটি পয়েন্টে কেনাকাটা বাড়ান
0 Comments