জামালপুর শহরে প্রকাশ্যে সাবেক স্ত্রীকে ঘুরিকাঘাত করেছে স্বামী। গুরুতর আহত ওই নারীকে মুমূর্ষু অবস্থায় জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাবেক স্বামী মো. শাহীন আলম (২১)কে জনগণের সহায়তায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে।
শনিবার বিকাল পাঁচটায় জামালপুর শহরের তমালতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত নারীর নাম মোছাঃ সাবিনা ইয়াসমিন (২১)। সে শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার জোকাকুঁড়া গ্রামের জনৈক সালেহ আহাম্মেদের মেয়ে। মোছাঃ সাবিনা ইয়াসমিন জামালপুরের জসিম উদ্দিন নার্সিং ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী হিসেবে জামালপুর শহরের নয়াপাড়া পাঁচরাস্তা এলাকার একটি মেসে থাকতেন।
অপরদিকে শাহীন আলম শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার গুরুচরন দুধলই গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শাহীন আলমের সঙ্গে সাবিনা ইয়াসমিনের নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে তাদের সাড়ে তিন বছর আগে বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু তাদের আড়াই মাস আগে তালাক হয়ে যায়। ওই নারী জামালপুর শহরে থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করতো। আহত সাবিনা ইয়াসমিনের বান্ধবী সুমি আক্তার বলেন, বিকালে নার্সিং ইনস্টিটিউটের পরীক্ষা শেষে ইজিবাইকে করে শহরের তমালতলা এলাকায় যাচ্ছিলাম। এ সময় ওই যুবকও ইজিবাইকে উঠে বসে। তখন ওই যুবক বার বার পিছন ফিরে তাকাচ্ছিল। পরে তমালতলা এসে কাজ শেষ করে বাসায় ফিরার পথে ওই যুবক আবার আমাদের ইজিবাইকে উঠে বসে। তখন ওই যুবককে ইজিবাইক থেকে নামতে বললে যুবকটি ইজিবাইকের মধ্যেই সাবিনা ইয়াসমিনকে ছুরিকাঘাত করতে থাকে। ছুরিকাঘাতের এক পর্যায়ে রাস্তায় পড়ে যায় সাবিনা ইয়াসমিন। তারপরও এলোপাথারি ছুরিকাঘাত করছিল যুবকটি। পরে স্থানীয় লোকজন যুবকটিকে ধরে ফেলেন এবং সাবিনাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে শাহীন আলমকে আটক করে। এ বিষয়ে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার আল ইমরান জানান, ওই নারীকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাঁর শরীরে ৪ থেকে ৫টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম খান জানান, ওই নারীকে প্রকাশ্য দিবালোকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। আহতের শরীরে বেশ কয়েক জায়গায় আঘাত করা হয়েছে। ঘাতককে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
0 Comments