উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। উপজেলার প্রায় দশহাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
গত ৩১ আগস্ট বিকালে বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনার পানি বিপদসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
ইসলামপুর উপজেলার পশ্চিমাঞ্চল প্লাবিত হয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি বন্যা কবলিত এলাকা সাপধরী ইউনিয়ন পুরোটাই বন্যার পানিতে ভাসছে। তলিয়ে গেছে রোপা-আমন ফসল ও বীজতলা। এছাড়াও চিনাডুলী, নোয়ারপাড়া, বেলগাছা ও কুলকান্দি চরাঞ্চল ও পৌর শহরের নিম্নাঞ্চল বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে রোপা-আমন, বীজতলা ও ফসল তলিয়ে গেছে।
অকাল বন্যায় নিচু এলাকার পানিবন্দি মানুষ গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে। বেলগাছা, গোয়ালের চর, জিগাতলাসহ কয়েকটি গ্রামে দুই শতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
এদিকে সাপধরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন জানান, তার ইউনিয়ন সম্পূর্ণভাবে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এক সপ্তাহ ধরে পানিবন্দি মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ইঞ্জিলামারী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকির মুখে পড়বে।
চিনাডুলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম বলেন, বন্যা হলেই প্রথমে এই ইউনিয়নে পানি ঢুকে মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। এবারের অকাল বন্যায় ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা পানিতে ডুবে গেছে আর প্রায় ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
অপরদিকে ইসলামপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান টিটু বলেন, বন্যা মোকাবিলায় আমাদের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে। চিনাডুলী ও বেলগাছা ইউনিয়নে ২শ পরিবারকে ত্রাণ দিচ্ছি। ত্রাণ কার্যক্রম বন্যা কবলিত এলাকায় চলমান থাকবে।
ইসলামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট এস এম জামাল আব্দুন নাছের বলেন, ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে আমরা প্রতিনিয়তই বন্যা কবলিত এলাকার খোঁজখবর রাখছি এবং ত্রাণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
0 Comments