নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাশেম ফুডের সেজান জুস কারখানায় তল্লাশী চালিয়ে তিনটি হাড়ের অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনজন পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৭ সেপ্টেম্বর তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইটি ওই অভিযান চালায়। উদ্ধারকৃত আলামত ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হবে।
৮ জুলাই বিকাল সাড়ে ৫টায় হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সেজান জুস কারখানায় আগুন লাগে। আগুন লাগার পর ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে তিন জন নিহত হন এবং পরের দিন ভবনের চতুর্থ তলা থেকে আগুনে পুড়ে যাওয়া ৪৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত ৫১ জনের মধ্যে ৪৫ জনের মরদেহ ডিএনএ টেস্টের পর নিহতের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. হারুন অর রশিদ জানান, সেজান জুস কারখানার শ্রমিক মহিউদ্দিন, সাজ্জাদ ও লাবণির পরিবারের অভিভাবকদের অভিযোগ কারখানায় কর্মরত ওই তিন শ্রমিক আগুন লাগার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। ভবনে যাদের মরদেহ পাওয়া গিয়েছিল, তাদের মধ্যে এই তিনজনের মরদেহ শনাক্ত হয়নি। তাদের এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিআইডি ফায়ার সার্ভিসকে চিঠি দেয়। মঙ্গলবার সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম এবং রূপগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় ভবনটিতে চিরুণি অভিযান চালিয়ে তল্লাশি করা হয়। ভবনের চতুর্থ তলা থেকে তিনটি হাড়ের অংশ উদ্ধার করা হয়েছে।
0 Comments