মাসদাইরে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের কয়েক ঘন্টা পর আবারো অবৈধ সংযোগ-JB Bangla Tv

মাসদাইরে একটি বাড়িতে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা অবৈধ সং যোগ বিচ্ছিনের ৬ ঘন্টা পর পুনরায় অবৈধ সংযোগ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে শামীম নামে একজনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ব্যপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে এলাকাটিতে। সুত্র জানায় গত সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর বারোটায় ফতুল্লা থানার পশ্চিম দেওভোগস্থ নিউ বাধন কমিউনিটি সেন্টারের দক্ষিনে আব্দুল মালেক মুন্সির বাড়ীতে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদে অভিযান চালায়। ঐ বাড়িতে মোট তিনটি অবৈধ সংযোগ পায় যার মধ্যে একটি সাব-মার্জিবল টিউবওয়েলের সংযোগ, পানির পাম্পের সংযোগ এবং অন্যটি ৫ তলা ভবনের সম্পুর্ন শীততাপ নিয়ন্ত্রন এসির সংযোগ। বাড়ীর অধিকাংশ সংযোগ অবৈধ দেখে কর্মকর্তারা হতভম্ব হয়ে যান। সাথে সাথে সংযোগ কেটে ফেলেন ইলেক্ট্রিক তার বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা নিয়ে যান। কিন্তু সংযোগ কাটার কয়েক ঘন্টা পরেই অভিযুক্ত শামীম নতুন তার কিনে এনে পুনরায় সংযোগ লাগিয়ে নেন। এতে করে এলাকাবাসীর মনে কৌতুহল জাগে যে শামীমের খুটির জোর কোথায়? এলাকাবাসীর তথ্যমতে আব্দুল মালেক মুন্সি স্বাধীনতার পর আশির দশকে পশ্চিম দেওভোগ ২৬২/১ হল্ডিং নাম্বারে সাড়ে ৫ শতাংশ ভরাট ভূমি ক্রয় করে বসবাস করতে থাকেন এবং ৫/৬ জন সন্তান নিয়ে কোন রকম সংসার চলতো তাদের। ২০০২ সালে ও নারায়ণগন্জ শহরের ফকিটটোলা মসজিদের পাশে ফুটপাতে বসে চালের দোকানদারি করতো। সেখানে ব্যবসা করাকালীন অনেক পাইকারের টাকা মেরে চলে আসেন। কিছু দিন পর তারা দেওভোগ কাটা কাপড়ের মার্কেটে দোকান ভাড়া নিয়ে রেডিমেট পোশাকের ব্যবসা শুরু করেন। কিছুদিন যাওয়ার পরই তারা আঙুল ফুলে কলা গাছ বনে যান। গত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আব্দুল মালেক মুন্সির পরিবার অভিযুক্ত শামীমের নেতৃত্বে ডা. সেলিনা হায়াত আইভীর পক্ষে কাজ করেন। নির্বাচনের পর মেয়র আইভীর কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা করতে না পেরে তার কাছ থেকে সড়ে আসেন। এলাকায় সে নিজেকে বড় মাপের নেতা হিসাবে জাহির করে কখনো মেয়র আইভীর লোক কখনো শহর আওয়ামীলীগ সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেনের লোক। এলাকাবাসীর অভিযোগ তাদের বিদ্যুৎ চুরির ঘটনায় মামলা করা হবে কিনা তা জানতে চান। এত বড় অপরাধের সাথে বিদ্যুত বিভাগের কেউ জড়িত আছে কীনা দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন করে জানার দাবি এলাবাসীর। রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিদ্যুৎ চুরি করা শামীমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবী জানান সচেতন এলাকাবাসী।

Post a Comment

0 Comments