সৈয়দ মুনিরুল হক নোবেল
জামালপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।
গত ২৪ ঘন্টায় জামালপুরে যমুনা নদীর পানি ২ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ।
শনিবার সকালে জামালপুরে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদ নদীর পানি কিছুটা কমেছে। তবে এখনও জেলার ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মাদারগঞ্জ, মেলান্দহ, সরিষাবাড়ি ও বকশীগঞ্জ মোট ছয়টি উপজেলায় ৩৬টি ইউনিয়নে পানি প্রবেশ করায় নিম্নাঞ্চল এখনও প্লাবিতই রয়েছে । পানিবন্দী রয়েছে প্রায় ৮৫ হাজার মানুষ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপ-পরিচালক নিতাই চন্দ্র বণিক জানান, বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে প্রায় সাড়ে সাত হাজার হেক্টর জমির ফসল।
এছাড়াও ৯কিলোমিটার কাঁচা পাকা সড়ক নষ্ট হওয়াসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠে গেছে। বন্যায় বন্ধ হয়ে গেছে বন্যা দুর্গত এলাকার নির্মাণাধীন উন্নয়ন কাজ। এছাড়াও বন্যা আর নদী ভাঙ্গনের কবলে পরে ৩শ ৯৭টি বসতঘর বিলীন ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডাঃ প্রণয় কান্তি জানান, বন্যা পরিস্থিতিতে জরুরি চিকিৎসা সেবা দিতে ১শ ৫৫টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ৭৫টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোকলেছুর রহমান জানান, বন্যা দুর্গতদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যার্ত এলাকায ১শ ১২ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৪শ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ৮২ লাখ টাকা। বন্যা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে।
0 Comments