সিটি কর্পোরেশনের অব্যবস্থাপনায় নাসিক লাকীবাজারে ময়লা-স্তূপ


 শহীদুজ্জামান আতিফঃ


দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৮নং ওয়ার্ডের এলাকা লাকীবাজার চৌ-রাস্তার পাশ ঘেঁষে ময়লা-আবর্জনার স্তূপে পরিনত হয়েছে। নাসিকের স্থানীয় কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লার অব্যবস্থাপনা ও উদসীনতায় ময়লা ফেলে রাখা হচ্ছে যত্রতত্র। ময়লা অবসারন করে এলাকা পরিচ্ছন্ন করতে দীর্ঘদিন যাবৎ নেওয়া হচ্ছে না প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। স্থানীয় লোকজন, দোকানদার এবং আশেপাশের মহল্লাবাসী ময়লা আবর্জনা এনে রাস্তার ওপর এলোমেলোভাবে ফেলে যাচ্ছে। এভাবে ময়লা আবর্জনা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ছে মূল রাস্তা ও ফুটপাতের বিভিন্ন স্থানে। ফলে নষ্ট হচ্ছে রাস্তার স্বাভাবিক পরিবেশ। পথচারীদের দেখা যায়, নাকে রুমাল দিয়ে চলাচল করছে। কেউ কেউ হাত দিয়ে নাকমুখ চেপে ধরে চলাচল করছে। পচা ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধ বাতাসের সঙ্গে মিশে আশপাশের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। ফলে প্রতিদিনই এলাকাবাসী, পথচারী, শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ হাজার হাজার মানুষ অবর্ণনীয় ভোগান্তিতে পড়ছে এবং সেই সাথে প্রায়ই সুস্থ মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে অনেকেই।

সড়কটি সরাসরি শহরে যাওয়ার একমাত্র পথ হওয়ায় এই ওয়ার্ডের সর্বোস্তরের জনপদ এখান দিয়েই যাতায়াত করে প্রতিদিন। পাশাপাশি সড়কটির দুইপাশ ঘিরে শত শত বসতবাড়ি, দোকানপাট সহ রয়েছে বড় বড় গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান এবং রড তৈরীর একাধিক কারখানা। যার ফলে প্রতিদিন শত শত শ্রমিক এবং গাড়ি যানবাহনের যাতায়াত থাকে এই সড়কে।

স্থানীয় বাসিন্দা রমিজ জানান , নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের গাড়ি এখানে ময়লা আবর্জনা নিষ্কাষনের জন্য আসে প্রায় প্রতি ১০-১৫ দিন পর পর। বিষয়টি একাধিকবার স্থানীয়দের মধ্যে আলোচনা হলেও এটি নিয়ে কোনো যথার্থ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। স্থানীয় কাউন্সিলর রহুল আমিনের উদসীনতাও রয়েছে। কারন সিটি করপোরেশন থেকে নিয়মিত ময়লা অবসারনের ব্যবস্থা করা হয়নি।

এক ভুক্তভোগী দোকানদার বলেন, এটি একটি চৌরাস্তার মোড়। এখানে শত শত মানুষের সমাগম প্রতিদিন। তাই এই স্থানে আবর্জনা রাখাটা অযৌক্তিক। তিনি আরো বলেন, আমরা যারা এখানে ব্যবসায় করি তাদের সারা দিন এই ময়লার দুর্গন্ধের মধ্যে অবস্থান করে কাজ করতে হয়। যার কারনে প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পরতে হয় আমাদের।

স্থানীয় এক পথচারী জানান, এখানে ময়লা ফেলে রাখার কারনে দুর্গন্ধে রাস্তায় চলাচল করা যায় না। আমরা সিটি করপোরেশনকে নিয়মিত টেক্স দেই। তারপরও কেন ময়লা অবসারনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে না কেন। এখান থেকে ময়লা আবর্জনা দূর করে এলাকা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা বলেন, আমরা রাস্তায় ময়লা ফেলার পক্ষে না। কিন্তু রাস্তার পাশে যেসকল হকাররা বসে তাদের কারনে দুই দিনের মধ্যেই ময়লা দিয়ে ভরে যাচ্ছে। আমাদের পুরো ওয়ার্ডের ময়লা সংগ্রহের গাড়ি মাত্র একটি। সেজন্য একসাথে সব জায়গার ময়লা প্রতিদিন পরিষ্কার সম্ভব না।

ময়লা অবসারন করে এলাকাকে পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার ময়লা ফেলার ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।

Post a Comment

0 Comments