স্টাফ রিপোর্টারঃ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার চিটাগাং রোড হিরাঝিল মক্কি নগর মাদ্রাসা সংলগ্ন ফরিদ মিয়ার বোনের বাড়ির নিচ তলায় ভাড়াটিয়া রুমি আক্তার বিউটি আক্তার, শ্রাবণী আক্তার, মফিজুল ইসলাম প্রমুখ নারী ও পুরুষরা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র এবং ব্ল্যাকমেইলিং গ্রুপের সদস্য এনং বিভিন্ন মানুষকে হয়রানি, বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে মানসিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে সর্বশান্ত করছে বলে অভিযোগ করেছেন।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী আবু জাহের ওরফে জাহিদ প্রথমে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এবং পরবর্তীতে ন্যায় বিচার চেয়ে নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ মডেল থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,আবু জাহের ওরফে জাহিদ পিতা মোঃ ইয়াসিন সাং বেপারী বাড়ী,ইদিলপুর,সেনবাগ,নোয়াখালী বর্তমান ঠিকানাঃচিটাগাং রোড, সিদ্ধিরগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন চিটাগাংরোডস্থ জামিয়া লাইট হাউজ এন্ড ভ্যারাইটিজ স্টোর দোকানে ব্যবসা করছিলেন মোঃ জাহের।
বিবাদীরা বিভিন্ন সময়ে দোকানে এসে নগতে এবং বাকিতে মালামাল ক্রয় কৃরিত।
সে সুবাদে উল্লিখিত বিবাদীগণদের সাথে জাহের ওরফে জাহিদের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এক পর্যায়ে বিবাদীরা তার নিকট এক মাসের মধ্যে ফেরত দেওয়ার মৌখিক শর্তে এক লক্ষ টাকা ধার নেয়। এবং মালামাল বিক্রি বাবদ ৭০ হাজার টাকা পাওনা হয়।
পাওনা টাকা চাইতে গেলে আজ দেই কাল দেই বলে ঘুরাতে করতে থাকে।
সর্বশেষ গত পহেলা অক্টোবর সকাল দশটার সময় রুমি আক্তার, বিউটি বেগম ও শ্রাবণী আক্তার দোকানে আসলে পাওনা টাকা ফেরত চাইলে তারা তা দিতে অস্বীকার করে।
তখন জাহিদ তার পাওনা টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করিলে তারা প্রমাণপত্র দাবি করে এবং বিভিন্ন প্রকার ভয় ভীতি ও জীবননাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
পুনরায় দোসরা অক্টোবর রাত এগারোটার সময় বিউটি বেগম ও মফিজুল ইসলামসহ আরও ৪/৫ জন দোকানে এসে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে।
টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বিউটি বেগম, মফিজুল ইসলাম ও তাদের সহযোগিরা উত্তেজিত হয়ে বিভিন্ন প্রকার ভয় ভীতি প্রদর্শন এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে।
এছাড়াও তাদের দাবিকৃত টাকা না দিলে তারা যেখানে পাবে সেখামে খুন জখমসহ দুনিয়া হতে চিরতরে বিদায় করে দিবে এবং উক্ত স্থানে ব্যবসা করতে দিবে না এবং দোকান ভাঙচুর, লুটপাট করে নিয়ে যাবে বলে হুমকি প্রদান করে।
বর্তমানে মোঃ জাহের ওরফে জাহিদ দোকান খুলতে পারছেনা। এ বিষয়ে ন্যায় বিচারের আশায় তিনি সিদ্ধিরগঞ্জ মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। জিডি নং ১০৭৩৬।
তদন্তকারী কর্মকর্তার নাম এসআই হুমায়ুন কবির।
0 Comments