সিদ্ধিরগঞ্জে প্রতারক সাদায়াত গ্রেপ্তার মুখ খুলছে ভুক্তভোগীরা


 সিদ্ধিরগঞ্জে ব্যবসার নাম করে অসংখ্য মানুষের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক নাজমুস সাদায়াত (৩৯) পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর মুখ খুলতে শুরু করেছে নাসিক ২নং ওয়ার্ডস্থ মিজমিজি এলাকাবাসী। ভুক্তভোগী অসংখ্য নারী-পুরুষের কাছ থেকে প্রায় ৩০ লক্ষাধিক অর্থ ব্যবসার কথা বলে হাতিয়ে নিয়েছে অভিযুক্ত নাজমুস সাদায়াত। এছাড়া ট্রাণ সমিতির নামে প্রায় ১৬ ব্যক্তির কাছ থেকে ৪০ নামে প্রায় কোটি টাকা উঠিয়েছে সে। এদের মধ্যে ২৪ নামের বিপরীত সমিতির নিয়ম অনুযায়ী টাকা ফেরত পেলেও আরো ১৬ নামের অর্থ ফেরত পায়নি সদস্যরা। বিগত এক বছর যাবৎ সদস্যরা নাজমুস সাদায়াত ও তার স্ত্রী উম্মে হানি তাফিফার পেছনে ঘুরেও বাকী টাকা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

এদিকে সাইম হোসেন খান (অরভিল) নামে এক ভুক্তভোগী দীর্ঘদিন অভিযুক্ত নাজমুস সাদায়াতের পেছনে ঘুরেও ব্যবসার ১১ লক্ষ ৪১ হাজার টাকা না পেয়ে তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় গত শুক্রবার রাতে অভিযুক্ত নাজমুস সাদায়াতকে গ্রেফতার করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। সেই মামলায় জামিনে বের হয়ে আসেন নাজমুস। নাজমুসের বিরুদ্ধে মামলা করায় রাতেই ভুক্তভোগী সাইম হোসেনের উপর হামলা করে নাজমুসের শ্যালক পলাশ দেব।


স্থানীয়রা জানায়, পলাশ দেব প্রায় এলাকায় তুচ্ছ বিষয়েও নানা ধরনের উৎপাত করে থাকে। তার বোন জামাই নাজমুস সাদায়াতের রাজনৈতিক দাপট দেখিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করে। কারণ নাজমুসের সাথে স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের সাথে সখ্যতা রয়েছে। তাদের শেল্টার পেয়েই এতগুলো টাকা হাতিয়ে নিলেও মানুষ ভয়ে কিছু বলতে সাহস পায়না। বিগত কয়েক মাস আগে ওই এলাকার হাবিবুল্লাহ নামে এক লন্ড্রি দোকানদারকে বেধড়ক মারধর করে নাজমুসের শ্যালক পলাশ দেব। এছাড়া পূর্বে মাদকসহ পলাশ দেব কুমিল্লায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল।


অন্যদিকে নাজমুস গ্রেফতারের পর নাসিক ২নং ওয়ার্ডস্থ একাধীক নারী-পুরুষ তার কাছ থেকে বিপুল অর্থের পাওনাদার বলে দাবি করেন।


জানা যায়, অরবিলের ১১ লাখ ৪১ হাজার টাকা সহ ওই এলাকার অসংখ্য নারী-পুরুষের কাছ থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকা ব্যবসার কথা বলে নিয়েছে নাজমুস। এছাড়াও নাজমুস সাদায়াত আরো অনেকের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় ব্যবসার কথা বলে বিপুল পরিমাণে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীদের।


আসুরা বেগম নামে নারী জানান, প্রায় কয়েক বছর আগে ব্যবাসা এবং ট্রাণ সমিতির কথা বলে ১৪ লাখ টাকা নিয়েছে নাজমুস সাদায়াত। প্রথম দিকে মাসে মাসে টাকা দিলেও গত এক বছর যাবৎ আর কোন টাকা ফেরত দিচ্ছে না। টাকা চাইতে তার বাসায় গেলে সে এবং তার স্ত্রী পাওনাদারদের অপমান করে তাড়িয়ে দেয়।

Post a Comment

0 Comments