শহীদুজ্জামান আতিফঃ
নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে বন্দর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে রাজনৈতিক উত্তাপ ততই বেড়ে চলেছে। যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের সংঘাত।নির্বাচনী আচরনবিধি ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রশাসনের কঠোর হুশিয়ারি।
১১ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে ঘিরে বন্দর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে বেড়ে চলছে নির্বাচনী উত্তাপ। প্রতিপক্ষের মাইক, নির্বাচনী ক্যাম্প ভাংচুর, শারীরিকভাবে হামলা, পোস্টার ছিড়ে ফেলা সহ শত শত অভিযোগ -পাল্টা অভিযোগে ভরে গেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক খুললেই চোখে পড়ছে নানা অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ, করা হচ্ছে বিদ্রূপ মন্তব্য। উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে প্রার্থীদের সাথে মত বিনিময় সভা হয়েছে।যেখানে নারায়ণগঞ্জ জেলা ডিসি, এসপি মহোদয় সহ নির্বাচন পরিচালনায় নিযুক্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় ডিসি ও এসপি মহোদয় নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে বলে সকল প্রার্থীদের আশ্বস্ত করেন। একজন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তার ইউনিয়নে সর্বোচ্চ ৩টি ও মেম্বার পদপ্রার্থীরা ১ করে নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করতে পারবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়। কোন প্রার্থী আইন অমান্য করলে তাকে সাথে সাথে জেল হাজতে প্রেরন করার হুমকিও দেয়া হয়। আজ থেকে নিয়ম বহিভূত নির্বাচনী ক্যাম্প ঘুড়িয়ে দেয়ার কথাও বলা হয়।
তবে সরজমিনে ঘুরে একজন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর ১০-১৫'র অধিক নির্বাচনী ক্যাম্প দেখা গেছে। সবচেয়ে বেশি মদনপুর ইউনিয়নে নৌকার ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে বলে দেখা গেছে। শুধু মাত্র ৮ নং ওয়ার্ডে ৮-১০ টি নৌকার ক্যাম্পের খোজ পাওয়া গেছে। বসত ঘরকে অস্থায়ী নির্বাচনী ক্যাম্প হিসেবে পরিচালনা করার খবরও পাওয়া গেছে। তাছাড়া কলাগাছিয়া ইউনিয়নে নৌকা ও লাঙ্গল উভয় প্রার্থীর ৩০ টির অধিক এবং মুছাপুর ইউনিয়নে ২০ এর অধিক লাঙ্গলের নির্বাচনী ক্যাম্পের খবর পাওয়া গেছে।
0 Comments