নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, বাংলাদেশ এখন কারো পায়ের উপর ভর দিয়ে দাড়ায়ে নাই। বাংলাদেশ তার নিজের পায়ের উপর দাড়িয়ে আছে। অজুহাত দেখিয়ে লাভ হবে না। হ্যা, আকাশে শকুন উড়ছে। কথায় কথা মির্জা ফখরুল সাহেব বলেন, রিজভি সাহেব বলেন- ‘এটা হবে ওইটা হবে’, ডা. মইন সাহেব বললেন, ‘খেলা হবে’। আরে কবে খেলবেন বলেন না; আমরা তো রেডি হয়ে আছি। এই খেলা হবে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে, শান্তির পক্ষে। আমরা তো খেলতে চাই। আপনারা একটু মাঠে নামলে আমরাও আমাদের শরীরটাকে একটু গরম করতে পারি। তারিখ দেন, কবে নামবেন, আমরা নারায়ণগঞ্জ থেকে এসে ঢাকায় খেলে যাবো। আমরা জানি, কখন কি করতে হয়। আপনাদের কপাল ভালো, প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা একটা কথা বার বার বলেন ‘ধৈর্য্য ধরো’, আমরা ধৈর্য্য ধরে আছি।
রবিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীতে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কর্তৃক আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শামীম ওসমান এসব কথা বলেন।
এ সময় বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ এর সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেনন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি।
শামীম ওসমান আরও বলেন, আমি দেখলাম গতকাল থেকে অনেকেই খুশি, কারন বাংলাদেশকে অসম্মান করা হয়েছে। যারা এ দেশের জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কাজ করেছে, তাদের অসম্মান করা হয়েছে। কিছুদিন যাবত বিভিন্ন ভাবে বাংলাদেশকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। লন্ডনে অবস্থিত ওই লবিস্ট ফার্মটা এ কাজটা করছে। তাদের কাজ হচ্ছে টাকা নিয়ে কাজটি করা। আমি শুধু অবাক হয়ে হাসি। আমার জানা মতে ভারতের প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মদিকেও যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো। পরে আবার লাল কার্পেট দিয়ে তাকে সংবার্ধনাও দেয়া হয়েছে। যারা এই কাজটি করছেন এবং করাচ্ছেন, তারা এই দেশের নাগরিক, আমার কাছে ঘৃনা প্রকাশ করা ছাড়া কিছু বলার নেই।
তিনি বলেন, এগুলো কিন্তু সব টেষ্ট করা হচ্ছে- আমাদের দেশের যুবসমাজের রক্ত গরম আছে নাকি ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, আর ওরা স্ট্রেডিয়ামে বসে পাকিস্তানের পতাকা উড়াচ্ছে, এরা কারা? ৯৬ সনে আমরা ক্ষমতায় আসার পর নারায়ণগঞ্জে স্লোগান দিয়েছিলাম যে, গোলাম আজম এবং কুকুরের প্রবেশ নিষেধ। এজন্য আমাদের উপর বোম ব্লাস্টও করা হয়েছে। সেখানে আমাদের ২০ জন মানুষ মারা গিয়েছিলো। ওরা ভেবেছিলো আমরা ভয় পেয়ে যাবো, কিন্তু ভয় পাই নাই।
যুবকদের বলতে চাই, আমরা আমাদের কৈশর যৌবনের আনন্দটা পাই নাই। কেনো? আমাদের জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়ে ছিলো। বঙ্গবন্ধু একটি ব্যক্তি ছিলেন না, বঙ্গবন্ধু একটি স্বপ্ন ছিলেন। আজ আমাদের কপাল ভাল যে, জাতির পিতা চলে গেছেন কিন্তু তার দুটি কন্যা রেখে গেছেন।
আমি আওয়ামী লীগ করি দেখে বলছি না, আমি একজন মানুষ হিসেবে বলছি- এই শেখ হাসিনাকে হারালে আমাদের আরেক বার যদি স্বপ্ন ভঙ্গ হয়, তাহলে ওই স্বপ্ন কিন্তু আর পুরণ হবে না। তাই এখন রুখে দাড়ানোর সময় হয়েছে। আদেশের অপেক্ষায় থাকলে হবে না, যেখানেই ওরা ছোবল দিবে, সেখানেই পাল্টা ছোবল দেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আমরা অবশ্যই গনতন্ত্রে বিশ্বাসী। তবে, তাদের সাথে গনতন্ত্র চর্চা করতে রাজি না, যারা আমার ত্রিশ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে।
এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর শত শত নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
0 Comments