কারাগারে মোবাইল ফোন ব্যবহার, তদন্ত কমিটি গঠন


 গাজীপুর: কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর কনডেম সেলে বসেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার ফাঁসির আসামি নূর হোসেন। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।গত ৬ জানুয়ারি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেল সুপার আব্দুল জলিল এ কমিটি গঠন করেন। কমিটির সভাপতি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর উপ-তত্ত্বাবধায়ক ও জেলার উম্মে সালমা, সদস্য সচিব ডেপুটি জেলার নুরুল মবিন এবং সদস্য প্রধান কারারক্ষী মো. আসাদুজ্জামান।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেল সুপার আব্দুল জলিল বাংলানিউজকে জানান, এ কারাগারের কনডেম সেলে নূর হোসেনসহ তিনজন বন্দি রয়েছেন। নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার ফাঁসির আসামি সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন। কারা কর্তৃপক্ষ জানতে পারে নূর হোসেন কনডেম সেলে বসে গোপনে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন। পরে ওই কনডেম সেলে গত ৫ জানুয়ারি অভিযান চালানো হয়। এ সময় ওই কনডেম সেল থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। সাত খুন মামলায় নূর হোসেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা বিচারাধীন। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সাবেক কাউন্সিলর ছিলেন নূর হোসেন।

জেল সুপার আরও জানান, কারাগারে মোবাইল ফোন ব্যবহারের অপরাধে তার বিরুদ্ধে কারাবিধি আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী পাঁচ দিনের (১১ জানুয়ারির মধ্যে) মধ্যে এ কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ সাত জনকে অপহরণের তিনদিন পর তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও তার চার সহকর্মী হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি এবং সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়ির চালক ইব্রাহিম হত্যার ঘটনায় জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে একই থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন।

Post a Comment

0 Comments