মোঃ জিহাদ হোসেনঃ
দৈনিক সময়ের নারায়ণগঞ্জ পত্রিকা অফিসে হামলার দুই দিন পর ওই ঘটনায় দু:খ প্রকাশ করেছেন নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ আজমেরী ওসমান।
পত্রিকা কাযালয়ে হামলার ঘটনায় জাতীয় পার্টির চারবারের প্রয়াত সংসদ সদস্য একেএম নাসিম ওসমানের ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। ১৫ই ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকালে নিজের ফেসবুক ওয়ালে আজমেরী ওসমান ঘটনার জন্য দু:খ প্রকাশ করে পোস্ট দেন। তিনি দাবি করেন, ওই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
আজমেরী ওসমান লিখেছেন, এ ঘটনায় তাকে জড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে প্রিয় নারায়ণগঞ্জকে অশান্ত করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। যেখানে সাংবাদিকদের মিথ্যা ও ভুল তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
ফেসবুক ওয়ালে তিনি লিখেছেন, দু:খজনক হলেও সত্যি, বেশ কয়দিন ধরেই বিভিন্ন সূত্রকে মাধ্যম করে আমাকে ও আমার পরিবারকে জড়িয়ে কোথাও কোথাও কুরুচিপূর্ণ ও বিভ্রান্তকর তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হচ্ছে, যা আমার ও আমার পরিবারের জন্য অত্যন্ত মানহানিকর। সম্প্রতি একটি পত্রিকা অফিসে হামলা ও হুমকির ঘটনায়ও আমাকে জড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক।
আজমেরী ওসমান দাবি করেন, তিনি সংবাদপত্রের মাধ্যমেই ওই ঘটনা সম্পর্কে জেনেছেন। তিনি লিখেছেন, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনায় প্রকৃত ঘটনা না জেনেই কেউ কেউ সাংবাদিক সমাজকে ভুল তথ্য দিয়ে আমার উপর ক্ষুব্ধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। অথচ আমার বাবা প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমানকে সবসময়ই দেখেছি সাংবাদিকদের যথেষ্ট সম্মান ও মূল্যায়ন করতে। আর তার শিক্ষা নিয়েই আমি সাংবাদিকদের মন থেকে শ্রদ্ধা করি। সর্বশেষ এটাই বলবো, এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় আমি দু:খ প্রকাশসহ মর্মাহত। তবে অনুরোধ থাকবে, আপনাদের মত আমরাও মানুষ। সকলেই বাবা-মা স্বজন নিয়ে এ সমাজে সম্মানের সাথে বেঁচে থাকার অধিকার রাখে।
আমারও সেই অধিকার রয়েছে। কল্যাণকর কাজের পাশাপাশি কখনো আমার কাজে ভুল পেলে আপনারা আমাকে আমার বীর মুক্তিযোদ্ধা পিতার মত সঠিক পথ দেখাবেন বলে আমি প্রত্যাশা করছি। সময়ের নারায়ণগঞ্জ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক জাবেদ আহমেদ জুয়েল অভিযোগ করেছেন, নারায়ণগঞ্জে আলোচিত ত্বকী হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশে ক্ষুব্ধ হয়ে হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। গত ১২ই ফেব্রুয়ারি প্রকাশ্যে মোটরসাইকলে মহড়া দিয়ে চাষাঢ়ায় দৈনিক সময়ের নারায়ণগঞ্জে হামলা চালানো হয়। সম্পাদককে গুলি করে হত্যার হুমকি দেয় একদল দুর্বৃত্ত। ভাঙচুর করা হয় ক্যামেরা, সিসিটিভি ও কম্পিউটার। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ইতোমধ্যে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের আশ্বাস দৈনিক সময়ের নারায়ণগঞ্জ পত্রিকা অফিসে হামলার ঘটনায় সন্ত্রাসীদের ভয় না পাওয়ার অভয় দিয়ে সত্যের পথে থাকার আহবান জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ ও পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম। একই সঙ্গে তারা ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। মঙ্গলবার দুপুরে পত্রিকাটির সম্পাদকসহ উপস্থিত সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করেন জেলা প্রশাসনের এই দুই কর্মকর্তা। এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে ঘটনা অবহিত করে দৈনিক সময়ের নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিকরা। ওই সময়ে জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, অপরাধীরা আইনের আওতায় আসবেই। আইন সবার জন্য সমান। সন্ত্রাসীদের ভয় পাবেন না। আপনারা আপনাদের লেখুনি চালিয়ে যান।
জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, এ বিষয়ে আমি প্রথম দিনেই জানতে পেরেছি। প্রেসক্লাবের সাংবাদিকেরাও তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। আমিও এসপি সাহেবকে বলেছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলম বলেন, দৈনিক সময়ের নারায়ণগঞ্জ পত্রিকা অফিসে কেন, যদি কোনো ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানেও এভাবে হোন্ডার মহড়া দিয়ে সন্ত্রাসীরা হামলা করে তাহলেও ছাড় দিব না। ওদের সবাইকে গ্রেফতার না করে অভিযান থামবে না। প্রত্যেককে খুঁজে বের করা হবে। এসপি জায়েদুল আলম বলেন, ইতোমধ্যে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামিরা সবাই পলাতক। তাদের বাড়িতে অভিযান চলছে। যেকোনোভাবেই হোক তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। অপরাধ করে কেউ ছাড় পাবে না।
আজমেরী ওসমান লিখেছেন, এ ঘটনায় তাকে জড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে প্রিয় নারায়ণগঞ্জকে অশান্ত করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। যেখানে সাংবাদিকদের মিথ্যা ও ভুল তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ফেসবুক ওয়ালে তিনি লিখেছেন, দু:খজনক হলেও সত্যি, বেশ কয়দিন ধরেই বিভিন্ন সূত্রকে মাধ্যম করে আমাকে ও আমার পরিবারকে জড়িয়ে কোথাও কোথাও কুরুচিপূর্ণ ও বিভ্রান্তকর তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হচ্ছে, যা আমার ও আমার পরিবারের জন্য অত্যন্ত মানহানিকর। সম্প্রতি একটি পত্রিকা অফিসে হামলা ও হুমকির ঘটনায়ও আমাকে জড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আজমেরী ওসমান দাবি করেন, তিনি সংবাদপত্রের মাধ্যমেই ওই ঘটনা সম্পর্কে জেনেছেন। তিনি লিখেছেন, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনায় প্রকৃত ঘটনা না জেনেই কেউ কেউ সাংবাদিক সমাজকে ভুল তথ্য দিয়ে আমার উপর ক্ষুব্ধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। অথচ আমার বাবা প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমানকে সবসময়ই দেখেছি সাংবাদিকদের যথেষ্ট সম্মান ও মূল্যায়ন করতে। আর তার শিক্ষা নিয়েই আমি সাংবাদিকদের মন থেকে শ্রদ্ধা করি। সর্বশেষ এটাই বলবো, এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় আমি দু:খ প্রকাশসহ মর্মাহত। তবে অনুরোধ থাকবে, আপনাদের মত আমরাও মানুষ। সকলেই বাবা-মা স্বজন নিয়ে এ সমাজে সম্মানের সাথে বেঁচে থাকার অধিকার রাখে।
0 Comments