সেই বিতর্কিত ও বিনা ভোটের চেয়ারম্যান লায়ন বাবুলকে ক্ষমা করে, দলীয় পদ ফিরিয়ে দেওয়ার এক চিঠি নিয়ে ফের বিতর্ক দেখা দিয়েছে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে। এদিকে এই চিঠি পেয়ে আনন্দ বিরাজ করছে বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন বাবুল শিবিরে।
সেই চিঠিতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদলের স্বাক্ষর থাকলেও নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই এর নাম, সীলমোহর ও স্বাক্ষর কিছুই নাই।
এ কারণেই বিতর্কিত সেই চিঠি। আর তাই এর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাই এর সত্যতা নিয়ে এখনও নিশ্চত হতে পরেননি বলে জানান, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।
সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, লায়ন বাবুলকে ক্ষমা করে, দলীয় পদ ফিরিয়ে দেওয়ার চিঠি আমি হাতে পেয়েছি। নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই এর সাথে আমার কোন যোগাযোগ নাই। আমি জানি না উনি দেশে নাকি বিদেশ। লায়ন বাবুলকে ক্ষমা করে, দলীয় পদ ফিরিয়ে দেওয়ার চিঠিতে সভাপতি আব্দুল হাই এর নাম, সীলমোহর ও স্বাক্ষর নাই কেন আমি জানি না।
নারায়ণগঞ্জ-৩, সোনারগাঁ ও সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সাবেক এমপি ও সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়সার হসনাত বলেন, হ্যা, জেলা আওয়ামী লীগের প্যাডে সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদলের স্বাক্ষরীত একটি চিঠি আমি হাতে পেয়েছি, যেখানে বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন বাবুলকে তার অপরাধের ক্ষমা করে, দলীয় পদ ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছ। কিন্তুু এর সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চত করে বলতে হলে, আগে আমাকে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই সাহেবের সাথে কথা বলতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে, উপজেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম যুগ্ম আহবায়ক ও পিরোজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুমের এর সাথে যোগাযোগ করা হলে ওনাকে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ, অতি সম্প্রতি সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ইউনিয়নে এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য দিয়ে দেশজুড়ে বিতর্কের জন্মদেন আওয়ামীলীগের মনোনীত বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত চেয়ারম্যান লায়ন বাবুল। ফলে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ, সোনারগাঁ উপজেলার আহবায়ক কমিটির সদস্য পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেন এবং সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী কার্যক্রম এবং সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রধান করেন।
পরে লায়ন বাবুল, সাংবাদিক সম্মেলন করে অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে ও কারণ দর্শানোর নোটিশের লিখিত জবাব দাখিলের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং দেশ ও জাতির কাছে গভীরভাবে অনুতপ্ত হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন।
0 Comments