হেলেনা আক্তার গাজীপুরঃ
গাজীপুরের কাশিমপুর মামলার তথ্য নিতে গিয়ে থানায় নারী পুলিশের হাতে এক বাদী মারপিটের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তিন দিন ধরে ওই নারী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
ভুক্তভোগী ও তার স্বজনদের দাবি, মারপিট ও আঘাতের কারণে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে পেটের বাচ্চা নষ্ট হয়ে গেছে।
গত মঙ্গলবার দুপুরে দায়ের করা একটি মামলার তথ্য নিতে কাশিমপুর থানায় যান বাদী লাবনী। তদন্ত কর্মকর্তার দ্বারস্থ হলে, তিনি এক নারী কনস্টেবলকে দেখিয়ে দেন। সেখানে নাম-ঠিকানা লিপিবদ্ধ করা নিয়ে তাদের মধ্যে শুরু হয় বাকবিতন্ডা। ভুক্তভোগির অভিযোগ- রুমা নামে এক পুলিশ সদস্য দেয়ালে চেপে ধরে ধস্তাধস্তি করেন। এতে তার ঠোঁট, নাক ফেঁটে যায়। এক পর্যায়ে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে পেটে আঘাত করেন ওই কনস্টেবল।
লাবনী ওই দিন সন্ধ্যাই কিছুটা রক্তক্ষরণ ও পেট ব্যথা থাকায় স্বজনরা লাবনীকে ভর্তি করেন শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগে। বর্তমানে পুলিশ প্রহরায় সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ভুক্তভোগী ওই নারী। এরইমধ্যে পরীক্ষায় রক্তক্ষরণে অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীর বাচ্চা মারা যাওয়ার রিপোর্টও আসে স্বজনদের কাছে। ভুক্তভোগী লাবনী একজন পার্লার ব্যবসায়ী। তার সাড়ে চার বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
এ বিষয়ে জিএমপি মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার জাকির হাসান জানান, এখনো ভিকটিম কোন অভিযোগ করেননি। নিরাপত্তা চাওয়ায় ওই নারীর প্রহরায় পুলিশ দেয়া হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
0 Comments