মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভাসমান দোকানপাটে সয়লাভ


মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ 

মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল চত্বর এলাকায় ভাসমান দোকানপাটে সয়লাভ। ফলে হাসপাতালে আগত রোগি ও দর্শনার্থীরা পড়েছে বিপাকে। মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের ভিতরের অংশ সাধারণ সংরক্ষিত এলাকা। সেখানে কিভাবে এসব ভাসমান দোকানপাট বসানো হলো তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছে অনেকেই।

মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের ভিতরে ভাসমান দোকানপাটে অস্বাস্থ্যকর খাবার দাবার বিক্রি করতে দেখা গেছে। তারমধ্যে রয়েছে ফুসকা ও জালমুড়ি। আগত রোগিরা ও দর্শনার্থীরা সেইসব খাবার খাচ্ছে সেখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে। এখানে চা ও সিগারেটও বিক্রি হচ্ছে। একাধিক ভ্যান গাড়িতে এসব খাবার বিক্রি হচ্ছে নিত্যদিন।

মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের গাড়ি পাকিং বা রোগীদের চলাচলের রাস্তার পাশেই এসব বিক্রির পসরা বসানো হয়েছে। এসব দেখলে এটি হাসপাতাল তা বুঝার কোন উপায় নেই। দেখে মনে হবে এটি ছোটখাট একটি বাজার। মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের দুটি গেইটে প্রবেশের মুখেই এসব দৃশ্যে দেখতে পাওয়া যায়। কাদের খুঁটির জোরে তারা এখানে এ ধরণের ব্যবসা করছে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

এদিকে এসবের সাথে এখানে বাড়তি যোগ হয়েছে বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্স ব্যবসা। এখানে একাধিক এ্যাম্বুলেন্স ব্যবসায়ি হাসপাতালের ভিতরে একাধিক গাড়ি পাকিং করে রাখে রোগি ধরার জন্য। এসব ঘটনায় বর্তমানে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের প্রকৃত নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

অন্যদিকে একাধিক সূত্র মতে জানা গেছে, মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে যেসব ভাসমান দোকানপাট বসানো হয়েছে তাদের কাছ থেকে একটি বিশেষ মহল প্রতিদিন জনপ্রতি দোকানধারদের কাছ চাঁদা আদায় করা হয় বলে খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্স অপেক্ষমান রাখার জন্য ঐ বিশেষ মহলকে চাঁদা দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রকৃত অর্থেই রোগিদের কোন নিরাপত্তা নেই। এখানে প্রতিদিন নারী রোগিদের কাছ থেকে একটি সংব্ধ চক্র টাকা পয়সা পকেটমার করছে বলে জানা গেছে। এদিকে হাসপাতালের ভিতরে প্রতিদিন একাধিক ছাগল ঘুরাফেরা করতে দেখা যায়। মানুষের জন্য হাসপাতালে এখন প্রাণী ঘুওে ফেরায় এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে নানা রকমের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

একাধিক সূত্র মতে জানা গেছে, মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের স্টাফ সোহেল হাসপাতালের কোয়াটারে এসব ছাগল লালন পালন করেন। আর সেইসব খোলামেলা ছাগল দিন দুপুরে হাসপাতালের বিভিন্ন স্থানে সুযোগ বুঝে ঘুরা ফেরা করে মনের সুখে।

এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মঞ্জুরুল আলম বলেন, এ বিষয়টি আমি দেখবো।

Post a Comment

0 Comments