আওয়ামী লীগ মিথ্যাবাদী, প্রতারক দলঃ মির্জা আলমগীর


 জেবি বাংলা ডেস্কঃ 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, খালেদা জিয়াকে সরকার মারাত্মক ভয় পায়। তিনি যদি বাইরে আসেন, গাড়িতে বসে যদি হাত দেখান, তাহলেই দেশের মানুষকে কেউ আটকে রাখতে পারবে না। সরকারকে উদ্দেশ করে মির্জা আলমগীর বলেন, সাহস থাকলে বেগম খালেদা জিয়াকে ছেড়ে দিন, বাইরে আসতে দিন। শুক্রবার, মার্চ ৪, ২০২২, রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে মির্জা আলমগীর এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনুকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও তাঁর মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, সরকার খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে দিচ্ছে না। কারণ, এতে তাদের কাঁটা সরে যায়। মির্জা আলমগীর অভিযোগ করে বলেন, বিএনপির ছয় শর বেশি নেতা-কর্মীকে গুম করা হয়েছে। হাজারের বেশি নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, রফিকুল ইসলাম জনপ্রিয় নেতা বলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মিথ্যা মামলা, আক্রমণ করে লাভ নেই। দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। মির্জা আলমগীরের ভাষ্য, এই সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ক্ষমতায় বসে আছে। বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ছাড়া তাদের অন্য কোনো উপায় নেই। জনগণের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নেই। আওয়ামী লীগ মিথ্যাবাদী, প্রতারক দল। বিএনপির মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ ১০ টাকা কেজি দরে চাল, বিনা পয়সায় সার, ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়ার কথা বলেছিল। এখন চালের কেজি ৭০ টাকা। সার ১০০ টাকার বেশি। আওয়ামী লীগের সিল ছাড়া চাকরি পাওয়া যায় না। আবার টাকাও দিতে হয়। বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ভালোভাবে বিদায় নিতে হলে সরকারকে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। নয়তো পিঠের চামড়া থাকবে না। আন্দোলন ছাড়া বিকল্প নেই। এই সরকারকে পরাজিত করে নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, রফিকুল ইসলামের গ্রেপ্তারে কেউ ভয় পায়নি। মানুষের মিছিল নেমেছে। এই মিছিল সরকারের পতন ঘটাবে। সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেন, সরকার খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের ভয় পায়। রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে আন্দোলন দমানো যাবে না। সকাল ১০টার দিকে বিএনপির এই সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে দলটির কয়েক শ নেতা-কর্মী অংশ নেন। সমাবেশের কারণে প্রেসক্লাবের সামনের দিকের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অন্য পাশেও যানজট তৈরি হয়।

Post a Comment

0 Comments