শেখ হাসিনার ডাকের অপেক্ষায় ২৪ ঘণ্টা প্রস্তুত থাকে নারায়ণগঞ্জ’


 নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান বলেছেন, কোনো নির্বাচন নয়, নয় কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি। কিন্তু নারায়ণগঞ্জে এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত কর্মী সভা চলছে। কারণ কি জানেন। কারণ হঠাৎ করেই আমরা একদিনে একজন শামীম ওসমান হয়ে উঠিনি।


নিজের বংশধর পূর্ব পুরুষদের সব সময় দেখেছি কিভাবে তুফান ও ঝড়ের বিরুদ্ধে রাজপথে লড়াই করে যুদ্ধে টিকে থাকতে হয়। তাই সব সময় রাজপথে থাকতেই পছন্দ করি।  

তিনি আরো বলেন, কর্মী সভা হচ্ছে দফায় দফায়। কারণ দেশের যে কোন প্রয়োজনে সবার আগে নারায়ণগঞ্জ প্রস্তুত থাকে।


এটা সেই প্রস্তুতি। বাংলাদেশ সৃষ্টির পেছনে সবার আগে প্রস্তুত থাকার বহু ইতিহাস এই নারায়ণগঞ্জের আছে। তাই স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে যে কোনো সময় ডাক দেয়া হলে সবার আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে লাখো কর্মী আত্মত্যাগে অগ্রগ্রামী হবে। আর একটা কথা পরিষ্কার বলতে চাই- এই দেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নে দেখা বাংলাদেশ।

এই দেশকে বিশ্ব দরবারে মর্যাদার সাথে মাথা তুলে দাঁড়াতে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। দেশের জন্য নেত্রীর এই ত্যাগ মুল্যায়ন করতে আমরা নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের কর্মীরা ২৪ ঘণ্টা প্রস্তুত থাকি। শেখ হাসিনার এক ডাকে লাখো কর্মী নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রস্তুত আছে ও থাকবে।


রবিবার বিকালে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ধর্মগঞ্জে ইউনাইটেড নামে একটি ক্লাবে এক কর্মীসভায় এসব কথা বলেন তিনি।


শামীম ওসমান হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগকে যারা আঘাত করে দুর্বল করতে ব্যর্থ চেষ্টা করে যাচ্ছেন, সেসব মুখোশধারীদের বলছি, নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ বা নারায়ণঞ্জকে টার্গেট করার আগে হাজার বার আপনার নিশ্চয়ই চিন্তা করে থাকেন যে, এই নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের এক কর্মী শামীম ওসমান ও তার লক্ষ লক্ষ সহকর্মী রয়েছে।


তারা বঙ্গবন্ধুর গড়া বাংলাদেশ, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের জন্য খুশী মনে জীবন দিতে প্রস্তুত রয়েছে। অপশক্তিদের বলছি এই কথাটা ভালো করে মনের মধ্যে ফিট করে নিয়েন।

তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে মারতে পারেনি। কে করল কাজটা, বাঙালিরা। নারায়ণগঞ্জে দাঁড়িয়ে একদল লোক বলে আরেকটা ১৫ আগষ্ট হবে এটা হবে ওটা হবে। এটা কোনো ব্যাপার না। তারা বলতেই পারে। তবে যখন দেখি সেখানে আমাদের পাশে থাকা লোকেরাও আছে তখন সন্দেহ হয়। এখানে (নারায়ণগঞ্জে) জঙ্গিবাদও আছে, তারা হিট এন্ড রান করতে চায়। তারা আমাদের দুর্বল করে ঢাকাকে আঘাত করার চেষ্টা করবে। পচাত্তরের ১৫ আগষ্ট তো কোনো দল ছিল না। সেদিন কি করেছি আমরা, নাসিম ওসমানের (নারায়ণগঞ্জ- ৫ আসনের প্রয়াত জাতীয় পার্টিও এমপি) মত কিছু লোক বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে অস্ত্র হাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়েছিল বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে। বহু দিন তাদের হদিসও ছিল না। তারা জীবনের মায়া করেনি। কারণ তারা জীবনের চেয়ে বেশী বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসতো। তাদের রক্ত কিন্তু আমাদের শরীরে বইছে। এ রক্তের প্রবাহ দমে থাকার নয়। সেই রক্ত এখনও বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার কর্মীদের শরীরে প্রবাহমান রয়েছে।


কর্মী সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফউল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, আসাদুজ্জামান চেয়ারম্যান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু, মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন প্রমূখ।

Post a Comment

0 Comments