জেবি বাংলা নিউজ ২৪ ডেস্কঃ
বন্দরে ব্রম্মপুত্র নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় শান্ত (১৬) নামে এক হোসিয়ারী শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে কলাগাছিয়া নৌ ফাঁড়ী পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) বিকেল ৩টায় বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের সাবদীস্থ গ্রীন র্গাডেন র্পাকের ২শ’ গজ দূরে ব্রম্মপুত্র নদী থেকে ওই মৃত দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
এর আগে গত ২৯ মার্চ মঙ্গলবার রাত ১০টায় ব্রম্মপুত্র নদীতে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গিয়ে ওই হোসিয়ারী শ্রমিক নিখোঁজ হয়। নিহত শান্ত বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের হাজরাদী এলাকার দিনমজুর সেলিম মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় কলাগাছিয়া নৌ পুলিশ লাশ উদ্ধারের ওই দিন বিকেলে হাজরাদী এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে নিহত শান্ত ৬ বন্ধুকে আটক করেছে।
আটককৃতরা হলো কলাগাছিয়া ইউনিয়নের হাজরাদী এলাকার মাহাবুব মিয়ার ছেলে বিল্পব (১৮) একই এলাকার শহিদুল্লাহ মিয়ার ছেলে রনী (১৮) জিধরা এলাকার শহিদুল ইসলাম মিয়ার ছেলে আকাশ (১৭) কলাগাছিয়া নিশং এলাকার মোক্তার হোসেনের ছেলে মিনহাজ (১৮) মহনপুর এলাকার রুপ চাঁন মিয়ার ছেলে আশরাফুল ইসলাম (১৮) ও একই এলাকার জামান মিয়ার ছেলে সাজিদ (১৭)।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে হাজরাদী এলাকার লোকজন ব্রম্মপুত্র নদীতে গোসল করতে এসে লাশ দেখতে পেয়ে কলাগাছিয়া নৌ ফাঁড়ীর পুলিশকে সংবাদ জানায়। পরে নৌ ফাঁড়ীর উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় শান্তর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের র্মগে প্রেরণ করে।
এ ব্যাপারে কলাগাছিয়া নৌ ফাঁড়ী উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসান জানায়, গত ২৯ মার্চ মঙ্গলবার রাতে শান্তসহ তার ৬ বন্ধু মিলে নৌকা দিয়ে ব্রম্মপুত্র নদী ঘুরতে যায়। পরে তারা সেখানে মাদক সেবন করে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করে। ঝগড়ার এক পর্যায় শান্তকে মারধর করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।
লোক মারফতে সংবাদ পেয়ে ব্রম্মপুত্র নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছি। লাশের গায়ে আঘাতের চিহিৃত রয়েছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
0 Comments