জেবি বাংলা ডেস্কঃ গতকাল রবিবার মোঃ তুষার আলম (১৬) নামক দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক ছাত্রের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। মাসদাইরের হুমায়ুন আহম্মেদের বাড়ীর ভাড়াটিয়া মোঃ সারোয়ার আলমের ছেলে তুষার মাসদাইরস্থ শাহীন স্কুল এর ছাত্র।
পরিবারের সূত্রে যানা যায়, তুষার বরাবরই একটু জেদি প্রকৃতির। প্রায়ই সে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আত্মহত্যার মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে প্রয়াস চালাতো। প্রায় এক সপ্তাহ পূর্বে তার ব্যবহৃত মোবাইল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় নতুন মোবাইল কিনে দেয়ার জন্য বায়না ধরে আসছিল। তুষারের বাবা মোঃ সারোয়ার আলম তার হাতে এসময় টাকা না থাকায় কিছুদিন পর কিনে দেবেন বলেন। গতকাল দুপুর ২টায় তুষার স্কুল থেকে বাসায় ফিরে আবারও মোবাইলের জন্য চিল্লাচিল্লি করে নিজের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে রাখে। এসময় তা মা রান্না বান্নার কাজে ব্যস্ত থাকায় খেয়াল করতে পারেন নি বা তার ছেলে এরকম ভাবে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটাতে পারে বুঝতে পারেন নি।
বেলা তিনটার দিকে ভাত খাওয়ার জন্য ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেলে আতংকিত হয়ে ডাক-চিৎকার করলে আশে পাশের ভাড়াটিয়ারা আসলে রুমের দরজা ভেঙে তুষারকে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
এসময় তুষার প্যান্টের কাপড়ের ব্যাল্টের দ্বারা সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ছিল। তাৎক্ষণিক তাকে নামিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ( ভিক্টোরিয়া) নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
এবিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়। মোঃ সারোয়ার আলমের গ্রামের বাড়ী কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া চন্ডিপাশা গ্রামে।
0 Comments