জামালপুর প্রতিনিধি : বিভিন্ন বিতর্কের জেরে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ হারান ডা. মুরাদ হাসান। তারপর কানাডায় ঢুকতে চেয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর গেল ১২ ডিসেম্বর দেশে ফেরেন সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী। দেশে পৌঁছে লোক চক্ষুর আড়ালে চলে যান ডা. মুরাদ। তিন মাসেরও বেশি সময় আড়ালে থেকে এবার প্রকাশ্যে এলেন মুরাদ হাসান।বুধবার (২ মার্চ) বিকেলে জামালপুরের সরিষাবাড়িতে পৌর এলাকার শিমলাবাজার বাসস্ট্যান্ডে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি। এ সময় ডা. মুরাদ বলেছেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী ও জামায়াত-বিএনপির দোসররাই শেখ হাসিনার উন্নয়ন বিশ্বাস করে না।তারা আগুনে পুড়িয়ে শুধু মানুষ মারতে পারে। জামায়াত-বিএনপি উন্নয়ন বোঝে না। তারা জানে শুধু মিথ্যাচার।কিন্তু আওয়ামী লীগ মানুষের উন্নয়ন, স্বপ্ন ও অঙ্গীকার পূরণের রাজনীতি করে। সরিষাবাড়ি বাস টার্মিনাল ভবন নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মধ্য দিয়ে আবারও সেটা প্রমাণিত হলো। তিনি বলেন, একটি চক্র মিথ্যাচার করে বারবার সরিষাবাড়ির মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছে। এরা দলের মধ্যে নেতাকর্মীদের মধ্যে ফাটল ধরাতে সক্রিয় হয়ে কাজ করছে। এসব স্বাধীনতাবিরোধী ও দেশবিরোধীদের প্রতিহত করতে আমি ডা. মুরাদ সবার আগে থাকব। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাতের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন পাঠান, সরিষাবাড়ি পৌরসভার মেয়র মনির উদ্দিন, থানার পরিদর্শক মীর রকিবুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ লতিফ, মহাদান ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আজমত আলী মাস্টার ,সরিষাবাড়ি মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোফাজ্জল হোসেন, সরিষাবাড়ি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল মজিদ, তারাকান্দি পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক আব্দুল লতিফ, পৌর কাউন্সিলর সাখাওয়াতুল আলম মুকুল, আব্দুল হক তরফদার প্রমুখ। উল্লেখ্য, বিভিন্ন টকশো ও অনুষ্ঠানে নানা বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, নারীদের নিয়ে অশোভন বক্তব্য ও ঢাকাই সিনেমার এক নায়িকার সঙ্গে অডিও ফাঁসের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করেন ডা. মুরাদ হাসান। পরে তিনি জামালপুর আওয়ামী লীগের পদ হারান।
0 Comments