গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা


 ফরহাদুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টারঃ


গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ঈদ কেনাকাটায় জমে উঠেছে  শপিংমলগুলো। গভীর রাত পর্যন্ত দোকানে ক্রেতাদের উফছে পড়া ভীর লক্ষ করা গেছে। করোনার ধকল কেটে উঠার পর ব্যবসায়ীরা যেন নতুন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। বিশেষ করে রেডিমেট কাপড়ের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভীরে পা ফেলার জায়গা নেই। সকাল ৯টা হতে রাত ১২ পর্যন্ত চলছে ঈদ কেনাকাটা।  মার্কেটে পুরুষ ক্রেতার চেয়ে নারী ক্রেতার সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি।                         
         খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারের দোকানগুলোতেও জমে উঠেছে ঈদ কেনাকাটা। গত দু’বছরের তুলনায় প্রতিটি পণ্যের দাম দ্বিগুন হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজারে প্রতিটি পাঞ্জাবি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ হতে ৫ হাজার টাকা, প্যান্ট ৪৫০ হতে ৩ হাজার ২০০ টাকা, শার্ট ৬০০ হতে ২ হাজার ৮ টাকা, শাড়ী ৮০০ হতে ৫ হাজার ৬০০ টাকা, থ্রি পিচ ৬৫০ হতে  ১ হাজার ৮০০ টাকা, মেয়েদের রেডিমেট জামা ৮০০ হতে ৬ হাজার টাকা, বোরকা ১ হাজার ৩০০ হতে ৪ হাজার ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। 
          কাপড়ের পাশাপাশি জুতা, কসমেটিক, টুপির দোকানেও ক্রেতাদের ভীর চোখে পড়ার মতো। এদিকে ফুটপাতের দোকানগুলোতে নিম্ন আয়ের পরিবারের সদস্যদের কেনাকাটা করতে দেখা গেছে। সবমিলে গত দু’বছর পর ঈদ কেনাকাটা সরগরম হয়ে উঠেছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সমূহ। প্রশাসনের নজরদারী কম থাকায়  ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাগণ নিরাপত্তাহীনতার অভাব মনে করছেন। সে কারণে যানজোট নিরসন ও  নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য পুলিশি টহল জোরদারের দাবি ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের। 
          ক্রেতা আল তাহসিন জানান,  গত দু’বছর করোনার কারণে পরিবার পরিজনের ঈদ কোনাকাটা করতে পারি নাই। সে কারণে এ বছর আগাম কেনাকাটা করার জন্য মার্কেটে এসেছি। ছেলে-মেয়েসহ পরিবারের  সকলের রেডিমেট কাপড় , জুতা ও কসমেটিক কিনেছি। তবে দাম গত দু’বছরের তুলনায় অনেক বেশি। প্রতিটি জামা কাপড়ে দাম ২০০ হতে ৪০০ টাকা বেশি হয়েছে। তিনি বলেন, মার্কেটগুলোতে যথেষ্ট ভীর এবং সড়কে যানজোট অনেক বেশি। কিন্তু পুলিশি কোন টহল চোখে পরেনি। 
          বৈশাখী ফ্যাশনের স্বাত্ত্বাধিকারী লাভলু মিয়া জানান, পহেলা রমজান হতে খুব ভাল বিক্রি হচ্ছে। গত দু’বছর ঈদে কোন কেনাকাটা হয়নি। সে কারণে ক্রেতাগণ এ বছর পুরোদমে কেনাকাটা করছে। মার্কেটে কাপড়ের দাম অনেক বেশি হলেও ক্রেতাগণ ছেলেমেয়েসহ পরিবারের সকল সদস্যদের জন্য কাপড় কিনছে। সকাল ৯টা হতে রাত ১২টা পর্যন্ত কেনাকাটা চলছে। তবে পুলিশি টহল আরও বাড়াতে হবে, যাতে করে ক্রেতা এবং ব্যবসায়ীগণ যেন কোন প্রকার ক্ষতিকারক  না হয়।  
          সুন্দরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ  সরকার ইফতেখার মোকাদ্দেম জানান, পুলিশি টহল অব্যাহত রয়েছে। টহল আরও জোরদার করা হবে। তিনি দোকান মালিক সমিতির নেতাদের পাহারা জোরদারসহ সিসি ক্যামেরা বাড়ানোর পরার্মশ প্রদান করেন।   
          উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোহাম্মদ আল -মারুফ জানান, ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাদের ঈদ কেনাকাটায় যাতে করে কোন প্রকার সমস্যা না হয়, সে ব্যাপারে  ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

Post a Comment

0 Comments