জেবি বাংলা নিউজ ২৪ঃ
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ পার্কিং ও ফুটপাতের ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে এ পার্কিং ও ফুটপাত দখল করার পেছনে জড়িত রয়েছে পুলিশের সখ্যতা।
জানা যায়, বন্দর উপজেলার মদনপুরে বিভিন্ন গাড়ির অবৈধ পার্কিং স্ট্যান্ড রয়েছে। এ ছাড়া মহাসড়কেই বেশিরভাগ জায়গা দখল করে বসে আছে হকাররা। দেখলে বুঝা যাবে না এটা দেশের গুরুত্বপূর্ণ কোনো মহাসড়ক। ফলে এ মহাসড়কে যানজট যেন এক নিত্য সঙ্গি। এ মহাসড়ক দিয়ে কয়েকটি উপজেলার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র স্থান। কাঁচপুর হাইওয়ে থানা কিছুদিন পরপরই এ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে।
কিন্তু মদনপুর ইস্টাউনে ধামগড় পুলিশ ফাঁড়ি থাকায় ইনচার্জ ইমদাদুল ইসলাম তৈয়বকে ম্যানেজ করে চলছে ফুটপাত ও সিএনজি পার্কিং।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে অনেক হকার ব্যবসায়ী জানান, ধামগড় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইমদাদুল ইসলাম সরাসরি না নিয়ে লোক মারফত টাকা তুলেন ও যখন যে দোকান থেকে যা লাগে তাই নিয়ে যান কোনো টাকা প্রদান না করে। আমরা এখানে ব্যবসা করে খাই গরীব মানুষ ভয়ে কিছু বলতে পারিনা। আমরা প্রতিবাদ করলে আমাদের রাস্তা থেকে উঠিয়ে দিবে অনেক ভয়-ভীতি প্রদান করেন।
এ ছাড়া মদনপুর বাসস্ট্যানের সাথে কয়েকটি হসপিটাল রয়েছে। অবৈধ পার্কিং ও ফুটপাতের জন্য রোগী নিয়ে হসপিটাল যেতে পৌঁছাতে বিলম্বনা সৃষ্টি হয়। ফলে মাঝে মাঝেই এখানে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার (ওসি) সাজ্জাদ আলম খাঁন জানান, আমরা কিছুদিন পরপরই মহাসড়কের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করি। আমরা অচিরেই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এ বিষয়ে আরো জানতে চাইলে ধামগড় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এমদাদুল ইসলাম তৈয়ব জানান, এ বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন এর কোনো সত্যতা নেই।
সোর্সঃ উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ
0 Comments