গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সফিউলের চাকুরি ফিরে পেতে পূণরায সংবাদ সম্মেলন


 ফরহাদুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টারঃ


জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ টেপ রেকর্ডারে বাজানোর কারণে আনসার ব্যাটালিয়ন থেকে ১৮ বছর আগে চাকরিচ্যুত হওয়ায় চাকরি ফিরে পেতে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভূক্তভোগী সফিউল আলম। সফিউল সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের তারাপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে।
রোববার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় সুন্দরগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন ছাত্রজীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা পালন করেছেন। ছাত্রজীবন শেষ করে কর্মজীবনে প্রবেশ করেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে কাজ করেন। চাকুরী করাকালে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে জাতির পিতার ভাষণ টেপ রেকর্ডারে বাজানোর কারণে চাকুরিচ্যুত করায় দীর্ঘ ১৮ বছর থেকে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
সফিউল আরও বলেন ২৪ আনসার ব্যাটালিয়ন, রেজিঃ নং-১৬৯২৪, সদর দপ্তর, শিলছড়ি, কাপ্তাই, রাঙ্গামাটিতে কর্মরত অবস্থায় গত ২০০৪ সালের ৩রা জুন হতে ২১ জুন পর্যন্ত মোট ১৯ দিনের ছুটিতে বাড়িতে যান তিনি। ছুটিতে থাকা অবস্থায় অসুস্থ্য হওয়ায় কিছুটা সুস্থ্য হয়ে ওই সালের ১৯ আগষ্ট কর্মস্থলে যোগদান করেন। এরপর প্রাপ্ত ছুটি ব্যতিত বিনানুমতিতে অতিরিক্ত অনুপস্থিতির কারণ দর্শনোর নোটিশ জারী করেন কর্তৃপক্ষ । নোটিশের সন্তোষজনক জবাব দাখিল করলে কর্তৃপক্ষ  একই সালের ২৬ অক্টোবর বিনা বেতনে ৫৮ দিনের ছুটি মঞ্জুর করেন তার। এরপর সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় কয়েক দিন পর ব্যারাকে টেপ রেকর্ডারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ বাজানোর কারণে ওই ক্যাম্পের অধিনায়ক হিরা মিয়া তার প্রতি রাগান্বিত হন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে চাকুরিচ্যুত করার হুমকি দেন। এরপর হঠাৎ ২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর একটি চিঠি মারফত (যার স্বারক নং- অপাঃ/ব্যাটাঃ/৬৪০/অঅংগীঃ/২০০৪/২৩৬৩ আনস) শৃঙ্খলা জনিত কারণ দেখিয়ে

কর্তৃপক্ষ  তাকে চাকুরিচ্যুত করেন। এর প্রেক্ষিতে ১৯৯৫ সালের আনসার ব্যাটালিয়ন আইনের ১৬ ধারা মোতাবেক আনসার মহা-পরিচালক বরাবর আপীল করেন সফিউল। কিন্তু অদ্যাবধি আপীলের কোন জবাব প্রদান করেনি।
  সফিউল আরও বলেন সুন্দরগঞ্জ প্রেসক্লাবে হাজির হয়ে গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর চাকরি ফিরে পাওয়ার আকুল আবেদন জানিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনের খবরটি দৈনিক ভোরের সময়সহ বিভিন্ন জাতীয়, স্থানীয় পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়াতে গুরুত্বসহ ব্যাপকভাবে প্রকাশ ও প্রচার হলে ৩/৪ দিনের মধ্যে আনসার সদর দপ্তরের মনিটরিং শাখা থেকে  যোগাযোগ করে তার চাকরির সকল ডকুমেন্ট নিয়ে যায়। তখন থেকেই চাকরি ফিরে পাওয়ার আশায় বুক বেঁধে থাকার পর চারমাস পেরিয়ে গেলেও এখনো কোন সুরাহা পাইনি। সফিউল আরও বলেন পরিবার-পরিজন নিয়ে অতি কষ্টে দিনানিপাত করছেন। এমতাবস্থায় মাননীয় প্রধাণমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে চাকরি ফিরে দেওয়ার আকুল আবেদন জানান সফিউল।

Post a Comment

0 Comments