সপ্তাহ না পেরুতেই পুরোনো চেহারায় চাষাড়ার অবৈধ অটো স্ট্যান্ড


 নারায়ণগঞ্জে পবিত্র রমজান মাসে যানজট নিয়ন্ত্রণে নগরীজুড়ে অবৈধ সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ড উচ্ছেদ এবং অবৈধ যানবাহন নগরীতে প্রবেশে নিষেধ করার সাত দিনের মধ্যে আবারো বসেছে অবৈধ স্ট্যান্ড।

শনিবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে নগরীর চাষাঢ়া মোড়ে সোনালী ব্যাংকের সামনে, বাগে জান্নাত মসজিদের সামনে, দুই নম্বর রেলগেট এলাকা ও চাষাঢ়ায় সান্ত্বনা মার্কেটের সামনে এ স্ট্যান্ড বসতে দেখা যায়।

জানা যায়, পুলিশের ঘোষণা অনুযায়ী গত সাতদিন কোনো ধরনের অবৈধ স্ট্যান্ড শহরে ছিল না এবং অবৈধ যানবাহন নগরীতে প্রবেশ করতে পারেনি। একই সঙ্গে ফুটপাতে বসতে দেওয়া হয়নি কোনো হকার। এতে নগরবাসী স্বস্তি প্রকাশ করেছে এবং গত সাতদিন নগরীতে যানজট নিয়ন্ত্রণে ছিল। এতে রমজানে সময়মতো সবাই নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজ করতে পেরেছেন। তবে সাতদিন পার না হতেই আবারো আগের মতো নগরের সব স্থানে অবৈধ অটো স্ট্যান্ড হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নগরবাসী।  

তারা মনে করছেন এ বিষয়ে পুলিশ একটু কঠোর হলে সড়ক ও ফুটপাত দখল করে অবৈধ স্ট্যান্ড ও অবৈধ যান নগরে প্রবেশ করতে পারবে না।



এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলম জানান, আমরা আমাদের পদক্ষেপ নিয়েছি। এটি অব্যাহত থাকবে। কোনো অবস্থাতেই এভাবে অবৈধ স্ট্যান্ড কিংবা ফুটপাতে হকার বসতে দেওয়া হবে না। অবশ্যই পদক্ষেপ নিচ্ছি, এখনি পুলিশকে এ ব্যাপারে আবারো নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত (ভারপ্রাপ্ত) পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেছিলেন, মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ফিটনেসবিহীন গাড়িসহ অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কার্যক্রম চালানো হবে।

তিনি বলেন, ‘রমজান মাস শুরু হয়েছে। নগরবাসী যেন নির্দিষ্ট সময়ে তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম যথাযথভাবে পরিচালনা করতে পারে, সেলক্ষ্যে কাজ শুরু করব। আমরা একশ’ ট্রাফিক কমিউনিটি পুলিশ নিয়োগ করেছি। এদের অর্থায়ন করবে জেলা পুলিশ।

এ লক্ষ্যে মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেন পুলিশ সদস্যরা। ফুটপাতে যেন হকার বসতে না পারে সেজন্য বিশেষ টহলের ব্যবস্থা করা হয়। এ সময় প্রতিটি এলাকার গলিতে চেকপোস্ট বসিয়ে অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশাসহ নিষিদ্ধ যানবাহন নগরীতে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়।
রজমান মাসে যানজটমুক্ত থাকবে নারায়ণগঞ্জ। জেলা পুলিশের এ ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বদলে যায় শহরের দৃশ্যপট।

Post a Comment

0 Comments