বন্দরে জনি ওরফে অনিতা(২১) নামের এক সন্তানের জননী গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে অটোরিকশা চালক স্বামী আশিকউল্লাহ বিরুদ্ধে। ১৩ এপ্রিল বুধবার দুপুরে বন্দরের শাহীমসজিদ কোর্টপাড়া এলাকা থেকে অনিতার মরদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ লাশ উদ্ধারের ওই দিন বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ রেলগেইট এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাষান্ড স্বামী আশিক উল্ল্যাহ (২৮)কে আটক করতে সক্ষম হয়।
নিহত অনিতা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানার চরসার তলা গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে। আটককৃত খুনী আশিকউল্লাহ বন্দরের কোটপাড়া এলাকার শাহ আলমের ছেলে। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে।
বন্দর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা জানান, বন্দরের কোটপাড়া এলাকার শাহ আলমের ছেলে আশিকউল্লাহ প্রায় ৭ বছর আগে অনিতাকে বিয়ে করে বিদেশ চলে যান। দেশে ফিরে বেকার জীবনযাপনের এক পযায়ে নেশাসক্ত হয়ে পড়েন আশিক। এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকত। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঝগড়ার এক পযায়ে আনিতাকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরে লাশ গুমের উদ্দেশ্যে বাড়ির পাশে নির্জনস্থানে ময়লার ভাগাড়ে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে লাশটি পুড়ে যায়। স্থানীয়রা মরদেহটি দেখে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। পলাতক আশিকউল্লাহকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার ছোট ভাইকে আটক করা হয়েছে। অনিতার মা রুমি বেগম জানান, আশিক তার মেয়েকে টাকার জন্য চাপ দিত। মেয়ের সুখের জন্য তিনি রিকশা কিনতে দুই দফায় ৬৫ হাজার টাকা দেন। কিন্তু আশিক রিকশা না কিনে নেশা করে টাকা খরচ করে ফেলে। এ নিয়ে ঝগড়ার এক পযায়ে তার মেয়েকে হত্যা করে আশিক।
0 Comments