কপালে টিপ পরা নিয়ে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় এক প্রভাষককে হেনস্তার ঘটনা সারাদাশে তোলপাড় সৃষ্টি হলেও সে সম্পর্কে কিছুই জানতেন না অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য নাজমুল তারেক।
এর কারণ হিসাবে টেলিভিশন না দেখা এবং অ্যান্ড্রয়েড প্রযুক্তির বদলে বাটন ফোন ব্যবহারকে কারণ হিসাবে উল্লেখ করেছেন তিনি।
সাধারণ ফোন ব্যবহার ও টেলিভিশন না দেখার কারণে বিষয়টি তার কাছে অজানাই ছিলো। পরে তেজগাঁও বিভাগের পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারেন টিপকাণ্ড নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে।
নাজমুল তারেক ডিএমপির প্রটেকশন বিভাগের কনস্টেবল পদে কর্মরত। পুলিশ লাইন থেকে সংযুক্ত হয়ে তিনি ভিআইপি, ভিভিআইপিদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করতেন।
সোমবার দুপুরে, রাজধানীর তেজগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে ডিএমপি উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, নাজমুলের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি।
অভিযোগকারী ভদ্র মহিলার সঙ্গে একটি ঘটনা ঘটেছে মর্মে শিকার করেছে। সাধারণ ডায়েরিতে অভিযোগকারী নারী যে অভিযোগ তুলেছেন যথাযথ প্রক্রিয়ায় তা তদন্ত হবে।
অভিযুক্ত কনস্টেবল নাজমুল তারেককে থানার হেফাজতে নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, অভিযোগে ওই নারী কিন্তু পুলিশ সদস্যের নাম ও পদবি বলেননি।
শুধু একজন পুলিশ সদস্যের কথা বলেছেন। ২ এপ্রিল ঘটনা ঘটার পর অভিযুক্ত পুলিশ সসদ্যকে খুঁজে বের করতে তাদেরে সময় লেগেছে প্রায় দুদিন।
ডিএমপি কমিশনার, আইজিপি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও ঘটনার যথাযথ তদন্তের নির্দেশ দেন। তেজগাঁওয়ে কর্মরত পুলিশের সব সদস্যকে নিয়ে একযোগে তদন্তে নেমে সবার নিরলস প্রচেষ্টায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, অভিযুক্ত পুলিশ জানিয়েছেন টিপ পরা নিয়ে সারাদেশে তাকে নিয়ে তোলপাড় হয়েছে সেটি তিনি জানতেন না। ঘটনার পরদিন তিনি অফিসও করেছেন।
তিনি বাটন মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। এছাড়া দুদিন টেলিভিশনে খবর না দেখার কারণে ঘটনা সম্পর্কে জানতেন না তিনি। এমনকি তার কোনো সহকর্মী এ বিষয়ে তাকে কিছু জানাননি।
যেহেতু জিডিতে অভিযুক্তের নাম, পদবি ও মোটরসাইকেলের নম্বর পরিপূর্ণ ছিল না। শুধু সংক্ষিপ্ত বিবরণী ছিল। তবে তার পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে।
নাজমুলের গ্রামের বাড়ি যশোরে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। পাশাপাশি ওই শিক্ষকের জিডিরও তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন, তেজগাঁওয়ের ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার।
0 Comments