আসন্ন মোরগাপাড়া ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের তৃনমূল নেতাকর্মীদের মাঝে বিভাযন যেন বেড়েই চলেছে।
আগামী ১৫ই জুন অষ্টম ধাপে ঘোষিত মোড়গাপাড়া ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য আরিফ মাসুদ বাবু। তবে তিনি মনোনয়ন পান নি।দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোহাগ রনি।অভিমানে দলীয় সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করে সতন্ত্র প্রার্থী হন আরিফ মাসুদ বাবু,মূলত তিনিই এখন আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২২ মার্চ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটিতে আরিফ মাসুদ বাবুকে সদস্য করা হয়।এছাড়াও ২০১৬ সালে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি,এর আগের বারেও চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি।
দলীয় সূত্র বলছে, স্থানীয় নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে সৃষ্ট কোন্দল নিরসনে এবার কঠোর পথে হাঁটছে দল। বারবার ক্ষমা করা হলেও বিদ্রোহী প্রার্থী কমছে না, উপরন্তু আরও বাড়ছে। আর নির্বাচনে ঘিরে প্রতিপক্ষের চেয়ে নিজেদের মোকাবিলা করতে হচ্ছে বেশি। যে কারণে দলীয় ঐক্যও ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না।
দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের মনোনয়ন বোর্ডের প্রধান। তিনিই মনোনয়ন চূড়ান্ত করেন। সেই মনোনয়নের বাইরে গিয়ে কেউ যদি নির্বাচন করে তার তো দল করারই অধিকার হারিয়ে ফেলে। পার্টির নিয়মশৃঙ্খলা এবং নেতৃত্বের প্রতি যাদের আস্থা থাকে না, তাদের দল থেকে চিরদিনের জন্য বিদায় করে দেওয়া হবে।স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে দল থেকে মনোনীত প্রার্থীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামা ‘বিদ্রোহী প্রার্থী’দের বিরুদ্ধে এবার কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
দলীয় সূত্র বলছে, দলীয় প্রার্থীর বাইরে কেউ নির্বাচন করলে আজীবনের মতো দল থেকে বহিষ্কার হতে পারেন এবং কখনো নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে পারবেন না।
এদিকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ কয়েকভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সহ যুবলীগের বিভিন্ন নেতা বিদ্রোহী প্রার্থীর হয়ে নির্বাচনী প্রচারনায় অংশগ্রহণ করেছেন। ফলে তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে কোন্দল দেখা দিয়েছে।
নির্বাচনী মাঠ পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে বিদ্রোহী প্রার্থী আরিফ মাসুদ বাবুর সাথে নির্বাচনী প্রচারনায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোস্তাক আহম্মেদ ফিরোজ সহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের কয়েকজন সক্রিয় নেতা হুমায়ন কবির হুমা,রফিকুল হায়দার বাবু,ফয়েজ বাবু,মোঃ ইব্রাহিম মোল্লা,আতাউর রহমান নয়ন,রিয়াজউদ্দিন,সঞ্জীত,সিফাত,তন্ময় সহ প্রমুখদের অংশগ্রহণ দেখা গেছে।
0 Comments