ফরিদপুরে পানিবন্দি ৫৬ গ্রামের ১০ হাজার মানুষ


টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে পদ্মাসহ বিভিন্ন নদনদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ফরিদপুরের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে। প্লাবিত হচ্ছে জেলার নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা। ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মার গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি ২০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার শূন্য পয়েন্ট ১৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এখানে বিপদসীমার লেভেল ৮ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার।

ক্রমাগত বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফরিদপুর সদর উপজেলা ও চরভদ্রাসন উপজেলা দুটির চরঅধ্যুষিত ৬টি ইউনিয়নের বন্যাকবলিত চরাঞ্চলের প্রায় ৫৬টি গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকার প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এ দুটি উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের প্রায় ১০০০ একর ফসলি জমিতে পানি প্রবেশ করেছে।

জানা যায়, ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের ৩০টি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। নদীগর্ভে এ ইউনিয়নের ২২টি বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। প্রায় ১৫০ একর ফসলের জমিতে পানি প্রবেশ করেছে।

একই উপজেলার পাশ্ববর্তী ডিক্রিরচর ইউনিয়নের ১২টি গ্রামে পানি ঢুকেছে। নদীগর্ভ ১৭টি বসতবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। প্রায় ১১০ একর ফসলের জমিতে পানি প্রবেশ করেছে।

চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের ১২টি গ্রামে পানি ঢুকেছে। নদীগর্ভ বিলীন হয়েছে কয়েকটা বাড়ি। প্রায় ১০০ একর ফসলি জমিতে পানি প্রবেশ করেছে।

একইভাবে জেলার চরভদ্রাসন উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন- চর হরিরামপুর, চরঝাউকান্দা ও গাজিরটেক এ তিনটি ইউনিয়নের ১৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। একইসাথে এই তিন ইউনিয়নের প্রায় ৬০০ একর ফসলের জমিতে পানি প্রবেশ করেছে।

ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা বলেন, পদ্মার গোয়ালন্দ পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেয়ে ৮.৪২ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এখানে বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার নিচে পানি রয়েছে। এদিকে কোনো এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ভাঙনকবলিত হলে খবর পাওয়া মাত্রই সেখানে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তবে আগামী ৫ দিনে তেমন কোনো পানি বৃদ্ধি পাবে না বলে জানান ফরিদপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের এ কর্মকর্তা।

Post a Comment

0 Comments