সরকারবিরোধী ও উস্কানিমূলক স্লোগানকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা পাল্টা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটালে উভয় পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার রাতে নগরের খানপুর এলাকায় মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি শাহেদ আহমেদের নেতৃত্বে ৩০-৩৫জন নেতাকর্মী ঝটিকা মশাল মিছিল করেন। এ সময় তারা '৭৫-এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেক বার', 'শেখ হাসিনার গদিতে আগুন জ্বালাও একসাথে', 'সাকির ওপর হামলা কেন খুনি সরকার জবাব চাই' স্লোগান দিচ্ছিলেন। খবর পেয়ে জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের ১০-১৫ জন নেতাকর্মী ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের ধাওয়া করলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। এক পর্যায়ে তাঁরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি ককটেল নিক্ষেপ ঘটান। এ সময় ছাত্রলীগের আরও নেতাকর্মী ঘটনাস্থলে পৌঁছলে উভয় পক্ষ মুখোমুখি হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, নগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদত হোসেন সাজনু, মহানগর কৃষক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান লিটনসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা। এ সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এলাকা ত্যাগ করেন। জ্যেষ্ঠ নেতাদের পেয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছাত্রদল নেতাকর্মীদের বিরূপ মন্তব্যের বিচার দাবি করে স্লোগান দেন। পরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নিবৃত্ত করে বাড়ি ফেরান তাঁরা। আওয়ামী লীগ নেতা খোকন সাহা বলেন, 'আমরা অনেক কিছু সহ্য করেই নারায়ণগঞ্জে রাজনীতি করছি। নেত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করা লোকেরাও আমাদের দলের কারও কারও কোলে বসে আছেন। হঠাৎ করেই নারায়ণগঞ্জে বিএনপি-জামায়াতের আস্ম্ফালনের নেপথ্যে এই শর্ষের ভূতেরাই দায়ী। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এ বিষয়টি অবশ্যই জানে।'
এ ব্যাপারে জানতে ছাত্রদল নেতা শাহেদ আহমেদের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলে তা বন্ধ পাওয়া গেছে। নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সাইদুজ্জামান জানান, তাঁরা খবর পাওয়ার পরপরই সেখানে পুলিশ পাঠান। কিন্তু ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে এলাকাবাসী জানিয়েছেন, তাঁরা কয়েকটি পটকা ফোটানোর শব্দ পেয়েছেন। এ ব্যাপারে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি।
0 Comments