নারায়নগঞ্জে আবারো বেপরোয়া নারী ছিনতাইকারী চক্র। হঠাৎ করে নারায়নগঞ্জে বেড়েছে ছিনতাই। চলতি মাসের প্রথম ১১ দিনে ১৫টি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
ছিনতাইকারীরা প্রকাশ্য দিবালোকে গুলিবর্ষণ, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আহত করে ও বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে লুটপাট চালায়। এরা এতটাই বেপরোয়া যে, এখন শুধু রাস্তাঘাটে নয়, যাত্রীবাহী বাসে, রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে গুলি করে ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত করে টাকা পয়সা, স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিচ্ছে ছিনতাইকারীরা।
শুধু রাতেই নয়, দিনের আলোতেও সমান তালে ছিনতাই করে যাচ্ছে তারা। ঝামেলা এড়াতে বেশিরভাগ ভুক্তভোগী মামলা বা থানায় অভিযোগ দেননি। তাই পুলিশের কাছে ছিনতাইয়ের সঠিক পরিসংখ্যানও নেই।
তবে, ছিনতাইকারীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ছিনতাইয়ের শিকার একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, রাতে রাস্তাঘাট অনিরাপদ। কোন ধরনের নিরাপত্তা নেই। এ সময় বিভিন্ন পয়েন্টে ওঁৎ পেতে থাকে ছিনতাইকারীরা। নারায়ণগঞ্জের শতাধিক স্পটে প্রতিনিয়ত ছিনতাই হচ্ছে।
ছিনতাইয়ের শিকার ব্যক্তির অভিযোগ, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ছিনতাইকারীদের শনাক্ত করার পরেও রহস্যজনক কারণে পুলিশ এদের গ্রেফতার করতে পারেনি।
মহিলা কলেজের এর আশপাশ এলাকাসহ চাষাঢ়া ও ২নং রেল গেইট এলাকা ওই ছিনতাইকারীদের নিয়ন্ত্রণে। এদের অধিকাংশই রাজনৈতিক দলের পরিচয় ও প্রভাব কাটিয়ে ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে বলে সদর থানার একাধিক পুলিশ স্বীকার করেছেন।
অভিযোগ রয়েছে, পুলিশের নাকের ডগায় দাঁড়িয়ে একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে ছিনতাইকারীরা নির্বিঘ্নে পালিয়ে যাচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তার এবং ছিনতাইকৃত টাকা উদ্ধার করতে পারছে না। এমন কি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ছিনতাইকারীদের শনাক্ত করার পরেও গ্রেফতার করছে না পুলিশ। এ অভিযোগ উঠেছে ফতুল্লা থানা ও সদর থানার বিরুদ্ধে।
0 Comments