মৈশাদি ইউনিয়নে বসতঘরে ঢুকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ২ সহোদরকে রক্তাক্ত যখম।। জনতা কর্তৃক আটক ২


 

 চাঁদপুর সদর উপজেলার ৬নং মৈশাদি ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মজুমদার বাড়িতে বসতঘরে ঢুকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ২ সহোদরকে রক্তাক্ত যখম করে ১৫-২০ জনের  একদল অস্ত্রধারি সন্ত্রাসীরা। আহতরা হলেন,  সুজন খান (২৫) ও সুমন খান (২০), উভয় পিতা- সেলিম খান। এসময় সন্ত্রাসীরা বাড়িঘরে লুটতরাজ চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে জনতা কর্তৃক ধৃত ২ সন্ত্রাসীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।



ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল ৩০ জুলাই ২০২২ খ্রিঃ সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টায়। এসময় জনতার ধাওয়া খেয়ে সন্ত্রাসীদের সাথে থাকা অস্ত্রগুলো বাড়ির পাশের ডোবায় ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়   তারা। জনতা কর্তৃক ধৃত সন্ত্রাসীরা হলেন মৈশাদি বাজারের হারুন বেকারির সত্তাধিকারি হারুন চকিদারের ছেলে নাছিম উদ্দিন চকিদার (২২) ও একই এলাকার মোবারক হোসেনের ছেলে রবিউল।



ঘটনার বিবরণে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন জানান, সন্ত্রাসী নাছিম উদ্দিন ও রবিউলের সাথে চাঁদপুর পৌর ১৩ ওয়ার্ডের শেখের হাট এলাকার সাথে মারামারি কেন্দ্র করে বিবিএম ইট ভাটার সামনে তাদেরকে স্থানীয়রা বাধা প্রদান করার কিছুক্ষণ পর ওই সন্ত্রাসীরা মজুমদার বাড়িতে বসতঘরে ঢুকে সুজন ও সুমনকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত যখম। এসময় তাদের ডাক চিৎকারে বাড়ির মহিলারা এগিয়ে এসে জীবন বাজি রেখে দুই সন্ত্রাসীকে আটক করতে সক্ষম হয়। এরপর চাঁদপুর মডেল থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ২জনকে আটক করে নিয়ে যায়। 



এই ঘটনায় ওই বাড়ির প্রায় ৭-৮জন মহিলা আহত হয় বলে বাড়ির লোকজন জানায়, তবে তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে যায়। অন্যদিকে ওই সহোদর বর্তমানে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে। 



স্থানীয়রা জানান, হারুন বেকারির মালিকের ছেলে এলাকায় ব্যাপক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। তার অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। পান থেকে চুন খসলেই দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া এমনকি কুপিয়ে যখমসহ অসংখ্য অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। তার বাবার টাকার গরমে এলাকায় কাউকে তোয়াক্কা করে না নাছিম।



স্থানীয়রা আরো জানান, আমরা জেলা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধান মাননীয় পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ স্যার সুদৃষ্টি কামনা করছি। সন্ত্রাসী নাছিম এর হাত থেকে পশ্চিম মৈশাদিবাসীকে উদ্ধার করে আমাদের শান্তিতে বসবাসের সুযোগ দিন। অন্যথায় যে কোন সময় প্রানহাণীর ঘটনা ঘটাতে পারে ওই সন্ত্রাসী নাছিম। 



এব্যাপারে আহত সুজন ও সুমনের মা জানান তার দুই ছেলের ওপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

Post a Comment

0 Comments