সিদ্ধিরগঞ্জে ২৫ লক্ষ টাকা চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ী শাহবুদ্দিন ও স্থানীয় লোকদের উপর কাউন্সিলর রুহুল আমীন মোল্লা ও মাদক সম্রাট আমির বাহিনী হামলা করে। সিদ্ধিরগঞ্জের চৌধুরীবাড়ি ক্যানেলপাড়ে জমি সংক্রান্ত জের ধরে ব্যবসায়ী শাহবুদ্দিনকে আটকে রেখে মারধর করে কাউন্সিলর রুহুল বাহিনীর সমর্থকরা। এ নিয়ে ব্যবসায়ী শাহবুদ্দিনকে ছাড়াতে যান তার কারখানার শ্রমিক ও স্থানীয় কয়েকজন লোক। উল্টো শ্রমিক ও স্থানীয় লোকদের উপর হামলা করে কাউন্সিলর রুহুলের ক্যাডার বাহিনী।
এসময় ঘটনাস্থলে আহত হন- সালমা বেগম (৫২), রুবিনা বেগম (২৮), রায়হান (৩০) ও বাপ্পী (৩৮)। এদের মধ্যে রায়হানের মাথায় ১৭টি সেলাই দেয়া হয় এবং সালমা বেগমের হাতে ১৪টি সেলাই দেয়া হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কাউন্সিলর রুহুলের পক্ষে গোদনাইল আরামবাগ এলাকার দুর্দর্ষ সন্ত্রাসী ও বর্তমানে আজমেরী ওসমানের ঘনিষ্ট সহযোগী আমির হোসেন ওরফে মাদক সম্রাট আমির সহ তার সঙ্গীরা হামলা চালায়। আরামবাগ থেকে মাদক সম্রাট আমির বাহিনীর লোকজন আসার কারণে চৌধুরীবাড়ি ক্যানেলপাড় এলাকা কয়েক মিনিটের মধ্যে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ঘটনার সময় র্যাব-১১ এর একটি টহলকৃত টিম আসায় কাউন্সিলর রুহুলের ক্যাডার মাদক সম্রাট আমির বাহিনীর হাত থেকে জানে বেঁচে যায় আহত ব্যক্তিরা।
কয়েকদিন যাবত ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিনের ক্রয়কৃত জমি দখল ও ২৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে আসছে কাউন্সিলর রুহুল আমিন বাহিনী। এ নিয়ে জমির মালিক কয়েকবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অভিযোগ করতে গেলে তা আমলে নেয়নি থানা পুলিশ। গত ৯ জুলাই রাতের আধারে শাহাবুদ্দিনের ক্রয়কৃত জমিতে কাউন্সিল রুহুল ও মাদক সম্রাট আমিরের লোকজন টিন দিয়ে বেষ্টনি তৈরী করে ফেলে।
উল্লেখ্য, আগেও চাঁদা দাবি করায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর রুহুলের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেছিলেন এমরান নামের এক ডিস ব্যবসায়ী। সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর দিনাকেও ইভটিজিং এবং হয়রানি করেছিলেন কাউন্সিলর রহুল মোল্লা। তাছাড়াও নিজের বড় ভাইকেও পিটিয়েছিলেন কাউন্সিলর রুহুল। এ নিয়ে নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশ হয়েছিল।
সূত্রঃ হাজীগঞ্জ নিউজ
0 Comments