নিজস্ব সংবাদদাতাঃ
সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল ও সাইনবোর্ড এলাকায় হাইওয়ে পুলিশের টিআই একেএম শরফুদ্দিনকে আর্থিক সুবিদা দিয়ে
বেপরোয়া ভাবে চলছে অবৈধ যানবাহন। সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে
বিনা বাধায় চলছে তিন চাকার যানবাহন।
জানা যায়, সিএনজি, অটোরি·া, ইজিবাইকসহ ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে শৃক্সখলাহীন ভাবে চলছে
এসব গাড়ী। শিমরাইল মোড় ও সাইনবোর্ড এলাকার দায়িত্বে থাকা হাইওয়ে পুলিশের টিআই
শরফুদ্দিনকে ম্যানেজ করে নিষিদ্ধ এসব থ্রি-হুইলার চলছে নিয়ন্ত্রনহীন ভাবে। এ ছাড়াও রুট
পারমিটহীন ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং ফিটনেসহীন যাত্রীবাহী বাস চলছে টিআইকে
মাসোহারা দিয়ে।
এসব গাড়ী মহাসড়ক দখল করে বানিয়েছে যত্রতত্র স্ট্যান্ড। মহাসড়কটি ৮’লেনের হলেও শিমরাইল মোড়ে
৪’লেন থাকে বিভিন্ন পরিবহনের দখলে। এ ব্যাপারে পরিবহন মালিকদের সাথে কথা হলে তারা যানায়
হাইওয়ে পুলিশের টিআই শরফুদ্দিনকে ম্যানেজ করে আমরা গাড়ী রাখি। শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের
সামনেসহ মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে বসানো হয়েছে স্ট্যান্ড। এসব স্ট্যান্ড থেকে প্রতিমাসে
আদায় করা হয় লাখ-লাখ টাকা চাঁদা। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট শিমরাইল মোড়। এ
পয়েন্টে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সড়কের উপর এলোপাথারি সিএনজি, অটোরি·া, ইজিবাইক, লেগুনাসহ বিভিন্ন পরিবহন দাঁড় করিয়ে যাত্রী উঠা-নামা করা হচ্ছে। সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮এর
৮৯(২)ধারায় উল্লেখ আছে যে, মহাসড়কে সিএনজি, লেগুনা, ইজিবাইক, অটোরি·াসহ যে কোন থ্রি- হুইলার চালানোর অপরাধে ৩’মাসের কারাদন্ড বা অনধিক ২০’হাজার টাকা জরিমানার বিধান থাকলেও
অদ্যবধী পর্যন্ত তা প্রযোগ হয়নি। যে কারনে আইনের তোয়াক্কা করছেনা এসব অবৈধ যানবাহন
মালিকরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শিমরাইল মোড় হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের সামনে ফুটওভার ব্রিজের নিচে নাফ, মদিনার পথে, শিমরাইল পরিবহনের বাসগুলো মহাসড়কে দাঁড় করিয়ে যাত্রী উঠানামা করছে। ক্যাম্পের
পূর্ব পাশে সিএনজি, লেগুনা, অটোরি´া, ইজিবাইক, ফুটওভার ব্রিজের নিচে অটোরি·া, ইজিবাইক, মহাসড়কের দক্ষিন পাশে সিএনজি, ইজিবাইক, অটোরি·াসহ বিভিন্ন পরিবহনে স্ট্যান্ড গড়ে তোলা
হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য আদমজী কোমল মিনি বাস, অভিনন্দন ট্রান্সপোর্ট লিমিটেড, শতাব্দী প্রিমিয়াম পরিবহন প্রাইভেট লিমিটেড ও সুগন্ধা পরিবহন। শিমরাইল ইউটার্নের দক্ষিণ
পাশে মহাসড়ক দখল করে নীলাচল, এ রহমান সুপার মার্কেটের সামনে পায়রা পরিবহন, দক্ষিণ পাশে বন্ধু
পরিবহনের স্ট্যান্ড। এছাড়াও মহাসড়কের দুই পাশে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান পার্কিং করে রাখা হয় সর্বদায়।
নির্ভযোগ্য সূত্রে জানা যায়, এসব পরিবহনগুলো চলাচলের আড়ালে লাখ-লাখ টাকা আর্থিক লেনদেন
হচ্ছে। টিআই শরফুদ্দিন মাসে কমপক্ষে ১০/১২’লাখ টাকা মাসোহারা পাচ্ছে এ সব অবৈধ পরিবহন
থেকে।
এ বিষয়ে টিআই একেএম শরফুদ্দিন বলেন, গত মাসে অসংখ্য পরিবহন ডাম্পিং করা হয়েছে। জনবলের
কারণে ব্যবস্থা নিতে পারছি না। তবে মাসোহারার বিষয়টি সঠিক নয় বলে দাবি করেন
তিনি।
0 Comments