মেহেদী হাসান শুভ চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
যমুনা ওয়েল কোম্পানির চাঁদপুর ডিপোতে ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়ন গাড়ি প্রতি ৪৭০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছে। শ্রমিক ইউনিয়ন কর্তৃক নির্ধারিত ১৭০ টাকার পরিবর্তে চাঁদপুর পৌরসভার নাম ভাঙ্গিয়ে ৪৭০ টাকা আদায় করছে রশিদ ছাড়া। পৌরসভা, ডিসি অফিস এবং এসপি অফিসের অনুমোদন আছে এমন দাবি করলেও এবিষয়ে চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র, চাঁদপুর জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ সুপার অবগত নন বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
দুপুরে যমুনা ওয়েল কোম্পানির চাঁদপুর ডিপোতে সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায় প্রতি লরী থেকে ৪৭০ টাকা সংগ্রহ করা হচ্ছে। একটি লরি দিনে যতবার আসে প্রতিবারই ৪৭০ টাকা করে দিতে হচ্ছে লরী চালকদের। জাকির হোসেনের নেতৃত্বে মোস্তফা, কাউছার, এবং আলমগীর বাদশাকে এই টাকা সংগ্রহ করতে দেখা যায়। কিসের টাকা তোলা হচ্ছে জানতে চাইলে তারা বলেন শ্রমিক ইউনিয়নের টাকা। শ্রমিক ইউনিয়ন কর্তৃক ঝুলানো চার্টে ১৭০ টাকা লেখা থাকলেও ৪৭০ টাকা কেন নিচ্ছেন জানতে চাইলে তারা বলেন, পৌরসভার টাকা আছে।
পৌরসভার টাকা পৌরসভা কর্তৃক নির্ধারিত এই এলাকার টোল আদায়কারী বাশারের লরী প্রতি ৭০ টাকা নেওয়ার কথা থাকলেও তারা কেন পৌরসভার টোল নিচ্ছেন এবং রশিদ দিচ্ছেন না এবং ১৭০ টাকা ও পৌরসভার ৭০ টাকা সহ মোট ২৪০ টাকার পরিবর্তে কেন ৪৭০ টাকা করে নিচ্ছেন জানতে চাইলে তারা সাংবাদিকদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন এবং বলেন ডিসি অফিস, এসপি অফিস এবং পৌরসভা থেকে অনুমতি নেওয়া আছে, আপনাদের সাথে কথা বলব না। আপনাদের কোন অধিকার নেই ছবি তোলার এবং জিজ্ঞেস করার। আমাদের হেড অফিস থেকে আপনাদের অনুমতি নিয়ে আসতে হবে।
এমন সময় চাঁদপুর জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি নাজমুল পাটোয়ারী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রতিবাদ করেন। তিনি বলেন, “চাঁদপুরে চাঁদা তোলার কোন অধিকার তোদের নেই। তোদের সমিতি কুমিল্লার, তোরা কুমিল্লা যেয়ে চাঁদা তোল, চাঁদপুরে কেন? ২০১৮ সালে মন্ত্রালয় থেকে চাঁদপুরের ডিসি এবং এসপির কাছে প্রজ্ঞাপন এসেছে তোদের এই চাঁদাবাজি বন্ধ করার জন্য। কিছুদিন বন্ধ থাকার পরে তোরা এই চাঁদাবাজি কার কথাতে আবার শুরু করেছিস। আর তথ্যমন্ত্রালয় থেকে বলা হয়েছে সাংবাদিকদের তথ্য চাওয়ার অধিকার আছে। কিন্তু তোরা সাংবাদিকদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে দেশের আইন ভঙ্গ করেছিস।” তখন তেলের ডিপোর দালাল হিসেবে অভিযুক্ত কবির মিজি, জাকির হোসেন, কাউছার, মোস্তফা এবং আলমগীর নাজমুল পাটোয়ারীকে ধাক্কা দিয়ে ডিপো থেকে বের করে দেন।
এবিষয়ে ডিপো ইনচার্জ শরিফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এব্যাপারে শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি, সেক্রটারী বলতে পারবে, আমি কিছু বলতে পারব না। ডিপোর ভিতরে এধরণের চাঁদাবাজি চলছে ডিপো ইনচার্জ হিসেবে তার করণীয় জানতে চাইলে তিনি অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন।
0 Comments