বন্দরে জনসাধারনের চলাচলের রাস্তা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বাবা ও ছেলেকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
গত মঙ্গলবার ৯ আগস্ট রাতে বন্দর থানায় মামলাটি রুজু হয়।
এর আগে ৮ আগস্ট সোমবার দুপুরে বন্দর উপজেলার কুশিয়ারা গ্রামে জনসাধারনের চলাচলের রাস্তার সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নুরুল আমিন (৫০) ও তার ছেলে রাতুল হাসান আনাস (২২)কে নৃশংসভাবে কুপিয়ে জখম একই এলাকার সন্ত্রাসী মনির উদ্দিন মিনুগং।
ওই সময় আহতদের গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে খানপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই আহত নুরুল আমিন বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে আরো ২/৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, বন্দর ইউনিয়ন কুশিয়ারা এলাকায় নুরুল আমিনের জায়গার পাশে জনসাধারনের চলাচলরত রাস্তায় একই এলাকার সন্ত্রাসী মনির উদ্দিন মিনু সিমেন্টের খুঁটি ফেলে জনসাধারণের চলাচলের অসুবিধার সৃষ্টি করে। পরে নুরুল আমিমসহ তার পরিবার বাধা দেয়।
এরই জের ধরে মনির উদ্দিন মিনুর ছেলে তপু, তার বাবা মনির উদ্দিন মিনু ও মনির উদ্দিন মিনুর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম মিলে নুরুল আমিনকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। নুরুল আমিন ও তার ছেলে রাতুল হাসান আনাস প্রতিবাদ করলে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী সন্ত্রাসী মনির উদ্দিন মিনু পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো রামদা দিয়ে নুরুল আমিনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে জখম করে।
পিতাকে বাচাতে ছেলে রাতুল হাসান আনাস এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসী মনির উদ্দিন মিনুর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম হাতে থাকা বটি দিয়ে তাকেও কুপ দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। আহত নুরুল আমিনের ডাক চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা নানা ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এ সময় আহতদের আশপাশের লোকজন উদ্ধার করে দ্রুত খানপুর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। পরে ওখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে।
0 Comments