রাজধানীর পাশ্ববর্তী জেলা না'গঞ্জ আ'লীগের সাংগঠনিক ভীত হতাশাজনক, সকলদায় ভার কি শামীম ওসমানের!



নিজস্ব সংবাদদাতাঃ-



ঢাকার রাজধানীর পাশ্ববর্তী জেলা নারায়ণগঞ্জ। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এ জেলা অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আওয়ামী লীগ সরকার টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকলেও এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলার সাংগঠনিক ভীত অনেকটা হতাশাগ্রস্ত। যার মূল কারন হিসেবে কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টিহীনতা ও জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের রাজনীতি প্রায় ৪ ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ছে। প্রভাবশালী সাংসদ শামীম ওসমান, নাসিক মোয়র ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভী, জেলা পরিষদের প্রশাসক আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, আনিসুর রহমান দিপুসহ সোনারগাঁও আওয়ামী লীগের একই দিক। রূপগঞ্জ - ২ আসনের সাংসদ গোলাম দস্তগীর গাজী, আড়াইহাজার - ১ আসেনর সাংসদ নজরুল ইসলাম বাবু, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই নিরপপক্ষ বলয়। ফতুল্লার শ্রমিক নেতা পলাশ কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগ নেতা ও স্থানীয়ভাবে রয়েছে বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। তার অবস্থান অনেক সময় বিভিন্ন দিকে মোড় নেয়। আবরা নাসিক নির্বাচনের পর জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব এ কে এম আবু সুফিয়ানও মেয়র আইভী হতে অনেকটা দূরে।  নাসিক মেয়ের একান্ত ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত আবু সুফিয়ান কেন মেয়রের সাথে দূরুত্ব এমন প্রশ্ন সচেতন মহলের।  অনেকে বলছে মহানগর যুবলীগ নেতা ও মেয়ের ভাই আলী রেজা উজ্জ্বল আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ -৫ আসনে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন চাইতে পারেন৷ অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব আবু সুফিয়ানও বিগত জাতীয় নির্বাচন, বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন চেয়েছিলেন।  দল দিলে নির্বাচন করার মত সকল প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন আবু সুফিয়ান।  ক্ষমতার প্রলোভনে মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীর সাথে আবু সুফিয়ানের দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে।  তবে এদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির জন্য মেয়রের সাথে থাকা বর্তমান আওয়ামী লীগের নেতারা। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের মনোনয়ন যুদ্ধসহ নিজেদের স্বার্থ হাসিলে বিভিন্ন কুটচালে দলের বিরাট একটা অংশ কাজ করে যাচ্ছে।  অথচ বিরোধী দল বিএনপি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজপথে সক্রিয় হয়ে সভা সমাবেশ করে যাচ্ছেন।  এমনকি সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বাজে মন্তব্যসহ বিভিন্নভাবে আন্দোলন করে জেলার অনেকটা তাদের দখলে। বিএনপির এমন আগ্রাসী ভাব দেখেও রাজধানীর পাশের জেলা নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ নীরব থাকলেও জেগে উঠেন প্রভাবশালী সাংসদ শামীম ওসমান।  দেশের আলোচিত-সমালোচিত সাংসদ শামীম ওসমান কর্মীদের চাঙ্গা করে বিরোধীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি দেন। জামায়াত বিএনপির কোন নেতাকর্মীদের আর ছাড় দেওয়া হবে না বলে শামীম ওসমান প্রতিদিন কর্মী সভা করে যাচ্ছেন।  আগামী ২৭ আগস্ট জনসভার ঢাক দিয়েছেন প্রভাবশালী সাংসদ শামীম ওসমান। এখানে অনেকে  বলছে লন শামীম ওসমান এমপি হজ্জ পালন করে এসেই ঘরে বসে থাকতে পারেননি।  বিরোধীদের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে,  আওয়ামী লীগের আরো সাংসদ, মেয়র, জেলার শীর্ষ নেতা, জেলা পরিষদের প্রশাসক তাদের নীরবতাকে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখছেন সুশীল সমাজ। তবে শামীম ওসমানের হুংকার ও কঠোর বক্তব্য কি অবশেষে ঠিক থাকবে। 

 ২০০৪ সাল থেকে ২০২২ চলছে ১৮ বছর। এ ১৮ বছরের প্রত্যেক বছরে অন্তত কয়েকবার বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেন শামীম ওসমান। ঘুরেফিরে এক কথা ‘উন্নয়ন হয়েছে কিন্তু মানুষ চায় শান্তি। আমি অচিরেই মাঠে নামবো। পঞ্চায়েত ব্যবস্থা কায়েম করবো। পাড়া মহল্লায় ঘুরবো, শান্তি কায়েম করবো’। কদাচিৎ তিনি মাদক বিক্রেতাদের এমন হুংকার দেন যে মাইকের সঙ্গে তাদের হৃদয়েও কম্পন ধরিয়ে দেয়। তবে সেই কম্পন থেমে যায় মাইকের বক্তব্যের পরেই। আর সে কারণেই গণমাধ্যমে ফতুল্লা ও সিদ্ধিরঞ্জ এলাকার কিশোর গ্যাং, মাদক বিক্রেতার ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠে।


সিনিয়র নাগরিকদের মতে, পাড়া মহল্লায় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা দুর্বলতার কারণেই এসব অবক্ষয় ঘটছে। শামীম সেই ২০০৪ সাল থেকে বলে আসলেও গত ১৮ বছরে দৃশ্যমান তিনি কোন এলাকাভিত্তিক সভা করেনি রাজনৈতিক ইস্যু ছাড়া। পঞ্চায়েত নেতাদেরও কোন আশ্বাস দেয়নি।


গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য ঘেটে দেখা যায়, গত কয়েক মাসে ঈদের পরে নারায়ণগঞ্জ শহর, বন্দর, ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলে কিশোর অপরাধী বা গ্যাং কালচারের দ্বারা অপরাধ সংগঠিত হয়েছে ৯টি। যার মধ্যে ৪টি হত্যা এবং ৫টি জখমের ঘটনা ঘটেছে। বাদ যায়নি সাংবাদিকও। কিন্তু এতকিছুর পরেও কোন ভ্রূক্ষেপই নেই পুলিশ প্রশাসনের।


১৫ মে রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ এলাকায় শুভ্রত নামে এক হোসিয়ারি শ্রমিককে হত্যা করা হয়। মে মাসের শুরুতেই নারায়ণগঞ্জ শহরের নন্দীপাড়া এলাকায় কিশোর গ্যাং এর ১০/১২ জন সদস্য প্রকাশ্য দিবালোকে এক যুবকের উপর হামলা চালায়। ১৩ মে ফতুল্লা থানাধীন মাসদাইর বোয়ালিয়া খাল এলাকায় এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের নিউজ প্রকাশের জের ধরে সাংবাদিক রাশিদ চৌধুরীকে ছুরিকাঘাত করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। ১৭ মে রাতে ফতুল্লার ইসদাইর এলাকায় সহপাঠীদের হাতে নিহত হয় দশম শ্রেনীর ছাত্র ধ্রুব দাস (১৬)। ১৪ মে সিদ্ধিরগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর ওয়াকওয়েতে আরাফাত হোসেন রিয়াদ (১৭) নামে এক কিশোরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে কিশোর গ্যাং সদস্যরা। এসময় তার চিৎকার শুনে তার আরেক বন্ধু এগিয়ে আসলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। সবশেষ সিদ্ধিরগঞ্জে টেনশন গ্রুপের ৭জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া মাদক ও প্রভাব নিয়ে চাঁদমারী এলাকাতে এক যুবক খুন হন। চাঁদমারী বস্তি এলাকার সামনে লাইন ধরে মাদক বিক্রির একটি ভিডিও ডিভিসিতে প্রকাশের পর তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফতুল্লার এলাকাধিক এলাকার কয়েকটি পঞ্চায়েত কমিটির নেতাদের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তারা বলেন, প্রত্যেক এলাকাতেই ক্ষমতাসীন দলের লোকজন রয়েছে। তারা নানাভাবে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা, মসজিদ কমিটির উপর হস্তক্ষেপ করে। আর যারা মূলত মাদক ব্যবসা করে বা কিশোর গ্যাং তারা ঘুরেফিরে ওইসব ক্ষমতাসীন নেতাদের আশ্রয়ে লালিত পালিত। তারা বিভিন্ন সভা সমাবেশে মিছিল নিয়ে হাজির হন। ফলে কোন অন্যায় করলে তাদের কিছু বলা যায় না। তাছাড়া এলাকাতে দল বেধে আড্ডাবাজি সহ বিভিন্ন অপকর্ম করলেও থাকে অধরা।


তল্লা এলাকার একজন জানান, পঞ্চায়েত ও মসজিদ কমিটি রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত সমাজ ঠিক হবে না।


ইসদাইর এলাকার একজন জানান, এখন আর তরুণ প্রজন্ম মুরুব্বিদের মানে না। এটা চরমভাবে সামাজিক অবক্ষয়। মুরুব্বিদের সুপ্রীম পাওয়া দিতে হবে। তাহলেই কাজ হবে। কিছুদিন আগে ইসদাইরে পুলিশ এসে প্রচারণা করেছিল। কিন্তু কয়েকদিন পরেই আবার বিপত্তি। পুনরায় কিশোর গ্যাং রাজত্ব করছে।


সংশ্লিষ্টরা জানান, শামীম ওসমান নির্বাচন আসলেই পঞ্চায়েত নিয়ে কথা বলেন। মাদক বিক্রেতা, ইভটিজার, ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে হুংকার দেন। কিন্তু সেটা আর পরে বাস্তবায়ন হয় না।


২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনের পরেই দেশ ছাড়েন শামীম ওসমান। আশ্রয় নেন ভারত ও পরে কানাডাতে। ২০০৪ সালের পর থেকে শামীম ওসমানের পক্ষে শুরু হয় আওয়ামী লীগের সভা সমাবেশ। প্রত্যেকটি এলাকাতে গিয়ে নেতাকর্মীরা সমাবেশ করেন আর সেখানে মোবাইলে বক্তব্য রাখতেন শামীম ওসমান। বক্তব্যের একটি বড় অংশ জুড়ে থাকতো পঞ্চায়েত ব্যবস্থা নিয়ে। তিনি তখন থেকেই পঞ্চায়েত ব্যবস্থা জোরদারের তাগিদ দেন।


সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত এক দশক ধরেই শামীম ওসমান পঞ্চায়েত ব্যবস্থার উপর বক্তব্য রাখছেন। কিন্তু কার্যকর কিছুই হচ্ছে না। কোন এলাকাতে গত এক দশকে কোন পঞ্চায়েতের সঙ্গে কেউ কোন আলোচনা করেনি। পঞ্চায়েতে আদৌ কারা আছে সে ব্যাপারেও কোন তদারকি ছিল না। পঞ্চায়েত নেতাদের সঙ্গে বৈঠক বা মতবিনিময় করে তাদের ক্ষমতা, কার্য প্রক্রিয়া সম্পর্কেও কিছুই জানানো হয়নি। ফলে পঞ্চায়েত ব্যবস্থার উপর তিনি শুধু মুখেই কথা বলছেন।


তাছাড়া মাদক ব্যবসায়ীদের কলিজা টেনে আনারও ঘোষণা দিয়েছিলেন শামীম ওসমান যাঁর বক্তব্য ও হুংকার রীতিমত অনেকের কম্পন ধরিয়ে দেয়। কিন্তু শামীম ওসমানের আক্রমনাত্মক সেই বক্তব্যে কাপছে না মাদক ব্যবসায়ীদের কলিজা। বরং অনেকটা বড় কলিজার সাহস নিয়েই দোর্দন্ড দাপটে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার মাদক ব্যবসায়ীরা। নারায়ণগঞ্জের সবচেয়ে বড় একটি মাদকের জোন এখন ফতুল্লা থানা এলাকাটি।

এর আগে সন্ত্রাস, মাদক ও ইভটিজিং মুক্ত নগরী গড়তে নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত দেশের জাতীয় ভিত্তিক সাতটি ও স্থানীয় ৩২টি ব্যবসায়ী সংগঠনের কাছে ১২ হাজার চিঠি দিয়েছিলেন শামীম ওসমান।


বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শামীম ওসমান এও বলতেন, আপনাদের বলতে চাই পুলিশের চেয়েও বড় পুলিশ আমি। যত বড় শক্তিশালীই হোক না কেন ওই মাদক ব্যবসায়ীর বুকের ভেতর হাত দিয়ে তার কলিজা বের করে নিয়ে আসব। মাদক ব্যবসায়ীদের কোনো ছাড় নেই। কারণ মাদকের কারণে একটি পরিবারে রোজ কেয়ামত নেমে আসে।' 


এক সভায় শামীম ওসমান এও বলেন, ‘চেয়ারম্যানদের সঙ্গে আলাপ করে কোন এলাকায়, একদিনে যদি ৮টা মিটিং করতে হয় আমি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ৮টা মিটিং করবো। এলাকার গণ্যমান্যদের দাওয়াত দিবেন উপস্থিত হয়ে শুনবো, পঞ্চায়েত করবো। শুধু আমাকে মাদক বিক্রেতাদের তালিকা দেন আমি প্রথমে ওই তালিকা প্রশাসনকে দিব। প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে গিয়ে সভা করবো। আলটিমেটাম দিব। প্রশাসন যদি ব্যর্থ হয় এরপর মেম্বার সাহেবরা থাকবেন দেখাই দিবেন এটা অমুক মাদক বিক্রেতার বাড়ি। ওর বাড়ি ভিতর থেকে ইট খুইলা যদি ওকে ধরে না আসি তাহলে আমি শামীম ওসমান না। আপনারা ধইরা নিয়ে আসবেন। ম্যাজিস্ট্রেটরা আছে তারা আইনগত ভাবে যা করার  তার করবো।’


তিনি বলেন, আমারও ভীমরুলের মত চাক আছে, ফোর্স আছে। ছেড়ে দিলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নারায়ণগঞ্জের মাদক ব্যবসায়ীদের খালি করে ফেলার ক্ষমতা রয়েছে। মাদক বিক্রেতাদের বাড়িতে বাড়িতে ঢুইকা ঢুইকা আমি শামীম ওসমান একলা মাদক বন্ধ কইরা দেখাইয়া দিমু। আর যদি না পারি আমার নামে আপনার বলে দিয়েন ‘আপনি পারেন নাই এমপিগিরি ছাইড়া দেন’। ৪৮ঘণ্টার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ খালি কইরা ফালামু। আমরা ওই ফোর্স আছে। ভিমরুলের চাকের মতো মারমু বাড়ি থেকে ধইরা নিয়ে আসবো। কিন্তু শুধু একটা কথা আল্লাহ কাজ যেন মাদক মুক্তি হই। ভুল কিছু করা যাবে না। তাহলে আল্লাহ বেজার হবে।’


নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি মনে করি, শামীম ওসমানের মত লোকেরা সমাজকে নষ্ট করতেছে। তারা নিজের ভাই ভাতিজাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। তাদের বিচার করতে পারতেছেনা। সে একজন মিথ্যার রাজা। নেতাকর্মীদের জাগ্রত করার জন্য নানান ধরনের বক্তব্য দিয়ে থাকে।


জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আব্দুল কাদির বলেন, এমপি শামীম ওসমান সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। সে তো অভিভাবক। নিয়ন্ত্রণ করা তাদের পক্ষে অসম্ভব কিছুনা। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করলে অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে। একারণে তিনি এগুলো জিইয়ে রাখে। যাতে করে নারায়ণগঞ্জবাসীর মনে ভয় কায়েম করতে পারে।

Post a Comment

0 Comments