কেমন চায় ইউনিয়ন আ'লীগের কমিটিগুলো বন্দরের ইউনিয়ন আ'লীগের কমিটি নিয়ে চলছে সর্বত্র আলোচনা - সমালোচনা!


 

বন্দর প্রতিনিধিঃ-


বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের পুর্ণাঙ্গ কমিটি কাউন্সিলের প্রায় ৩০ মাস পর ঘোষণা হয়েছে।  প্রায় ৩ মাস পূর্বে পুর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা হলেও ছিল নানা বির্তক। যোগ্য ও দলের জন্য নিবেদিত প্রান সে সকল নেতাকর্মীদের জায়গা হয়নি ওই কমিটিতে। স্বজনপ্রীতি ও গ্রুপিংয়ের উত্তাপটা দেখা মিলেছে কমিটিতে। কমিটি ঘোষনার পর যেখানে সংগঠন চাঙ্গা ও গতিশীল হবে, রাজপথে দেখা মিলেছে তার উল্টো চিত্র। 

কেমন চায় ইউনিয়ন আ'লীগের কমিটিগুলো এমন প্রশ্নের জবাবে বন্দর থানা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা সাইদুর রহমান (এস আই) জুয়েল বলেন, বন্দর উপজেলা ৫ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।  উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের কমিটি হবে সচ্ছ ও ত্যাগী নেতাদের দ্বারা। তরুন, ত্যাগী ও মেধাবীদের হাতে দেওয়া হবে ইউনিয়নের দায়িত্ব। দল ক্ষমতায় প্রায় ১৪ বছর গত হতে চলছে কিন্তু দল ও সংগঠনের স্বার্থে কোন ভূমিকা ছিল না তাদের কমিটিতে স্থান হবে না বলে শীর্ষ নেতারা এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানে। বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটির মত ইউনিয়ন কমিটি হবে না। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতিটি ইউনিয়ন কমিটি কাউন্সিলের মাধ্যমে হবে। মুখ দেখে কোন নেতা নির্ধারন করা হবে না। 

যুবলীগ নেতা অহিদুজ্জামান ( অহিদ) ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি আওয়ামীলীগের / মূল দলের না হলেও আমাদের মত আদর্শের কর্মীদের মনে অনেক কষ্ট আছে। দীর্ঘ দিন পর বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটি ঘোষণা হয়েছে কিন্তু আমাদের বিন্দু পরিমান মূল্যায়ন করা হয়নি। আওয়ামীলীগের পুর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার দিন আমাদের মত শত শত ত্যাগী ও আপোষহীন নেতাকর্মী ছিল তাদের সৌজন্য মূলক সম্মান দেয়া হয়নি। আমাদের দাওয়াত দেওয়া হলে আর না হত নেতাদের সাথে পরিচয় হতে পারতাম। তবে বন্দর উপজেলার ইউনিয়ন কমিটিগুলো সুন্দর, নিখুঁত ও সচ্ছ এবং তরুন উদীয়মান ত্যাগী নেতাদের দিয়ে যেন করা হয়। কোন বিতর্কিত, হাইব্রিডদের হাতে যাতে ইউনিয়ন কমিটি গুলোর দায়িত্ব না পরে সেজন্য শীর্ষ নেতাদের সু- দৃষ্টি কামনা করেছেন। তিনি আরো বলেন, বন্দর উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নের মধ্যে ম১নপুর ইউনিয়ন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।  মদনপুর ইউনিয়নের উপর দিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগসহ সিলেট বিভাগের একাংশ ঢাকায় প্রবেশ করে। মদনপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকসহ ৭১ জন বিশিষ্ট কমিটিতে ত্যাগী, সচ্ছ ও মেধাবীদের স্থান হবে।  যারা বিগত সময়ে দলের কোন সুবিধা না পেলেও কেন্দ্রীয় নেতাদের ডাকে জয় বাংলা শ্লোগানে হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে মদনপুর অবস্থান করতে পারে। বাকি ৪ টি ইউনিয়ন একই ভাবে করা হলে দল ও সংগঠন হবে গতিশীল। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ফিরে আসবে প্রান।  বিগত সময়ে চারদলীয়জোট সরকার হঠাতে মদনপুর চৌরাস্তা ছিল আওয়ামী লীগের দখলে।  বর্তমানে সেই আওয়ামী লীগ অনেকটা হতাশাগ্রস্ত সংগঠন। 

উল্লেখ্য যে,  নারায়ণগঞ্জ -৫ (সদর-বন্দর) আসনে দল ক্ষমতায় আসার পর থেকে জাতীয় পার্টির সাংসদ। ২০০৮ সাল হতে ২ বার নাসিম ওসমান এমপি থাকাকালে ২০১৪ সালে তার মৃত্যু হওয়ার ফলে উপ নির্বাচনে সেলিম ওসমান একই ব্যানারে এমপি নির্বাচিত হন। দল ক্ষমতায় আওয়ামীলীগ আর স্থানীয় এমপি জাতীয় পার্টির হওয়ায় সংগঠনের অনেকটা নিস্ক্রিয়ালতা দেখা মিলেছে। আবার রাজনীতিতে একাধিক বলয় হওয়ার ফলে কর্মী মূল্যায়ন নেই বললেই চলে। রাজনীতিতে যে কয়েকজন সক্রিয় তার বেশিরভাগই সুবিধা ভোগী। সুবিধা ভোগীরা সংগঠন বা আদর্শচ্যুত হয়ে নিজেদের আখের গুছানোর প্রমানসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তবে একাধিক সূত্রে জানা গেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরের ১/২ টি কমিটি ঘোষণা হতে পারে। শোকের মাস আগষ্টে কমিটি ঘোষণা না হলেও সেপ্টেম্বর মাসে কমিটি অনুমোদন হতে পারে। আওয়ামীলীগের পুর্ণাঙ্গ কমিটি ও সেচ্ছাসেবকলীগের কমিটি ঘোষণা হতে পারে। নির্বাচনকালীন বছরে তেমন কোন নতুন কমিটির অনুমোদন নাও হতে পারে। সূত্রগুলোর তথ্য মিল থাকলে বন্দর ক্ষমতাসীন দলের সংগঠনগুলোর তেমন কোন পরিবর্তন হবে না। বরং আরো নিস্তব্ধতা দেখা মিলবে বলে প্রবীণ নেতাদের ভাষ্য।

বন্দর উপজেলার ৫ টি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কমিটি চাই শক্তিশালী।

Post a Comment

0 Comments