চোখ কেনো উঠে এবং তার প্রতিকার


সম্প্রতি চোখ উঠা বা কনজাংটিবাটিস বা পিঙ্কআই রোগের প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে, এতে অনেকেই শঙ্কিত হচ্ছেন!

☞ কিভাবে ছড়ায় ?
- এটা একটা অত্যন্ত ছোঁয়াচে রোগ, রোগীর সংস্পর্শে এলে বা ব্যবহারিত জিনিসপত্র, কাপড়, টাওয়াল ,টিস্যু, ইত্যাদি শেয়ার করলে, এমনকি চোখের কাছাকাছি এসে আক্রান্ত রোগীর চোখের দিকে সুস্থ ব্যক্তি তাকালেও এ রোগ হয়ে যেতে পারে।

☞ রোগের লক্ষণ
- প্রথমে একটা চোখ আক্রান্ত হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পরবর্তীতে দ্বিতীয় চোখটিও আক্রান্ত হয়। শুরুতে চোখে ময়লা পরার অনুভূতি, চোখ খচখচ করা, চোখ গোলাপি বা লাল হতে পারে, চোখ ফুলে যেতে পারে, চোখে প্রচণ্ড রকম অস্বস্তি লাগতে পারে, ব্যাথা হতে পারে, ঝাপসা দেখা ,চোখ দিয়ে অনবরত পানি ঝরতে পারে এমনকি পুঁজও বের হতে পারে!

☞ রোগ হলে কি করবো ?
- কোন আতঙ্কের দরকার নেই, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটা ভাইরাস জনিত রোগ এবং পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ নিরাময় হয়ে যায়।
অহেতুক আক্রান্ত চোখ ঘষা মজা করবেন না।
চোখকে বিশ্রাম দিন, চোখের কাজ যেমন পড়ালেখা, টিভি, মোবাইল ব্যবহার সীমিত করবেন। নিজের এবং অন্যের চোখ ঝুঁকিমুক্ত রাখতে চোখে কালো সানগ্লাস ব্যবহার করবেন।
বেশি ব্যাথা হলে কুসুম গরম ভাব ব্যবহার করা যেতে পারে, সাথে প্যারাসিটামল বা নাপা জাতীয় ওষুধ খাওয়া যেতে পারে এবং চুলকালে এন্টিহিস্টামিন (যেমন - এলাট্রল, এলসেট) দিনে একবার করে খাওয়া যেতে পারে । বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোন এন্টিবায়োটি ড্রপ বা মলমের প্রয়োজন পড়ে না । তবে ব্যাকটেরিয়া জনিত ক্ষেত্রে বা ঝুঁকিপূর্ণ রোগীর ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক ড্রপ (ক্লোরামফেনিকল) বা মলম ব্যবহার করতে হয়।

☞ কখন ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন? - যদি চোখ দিয়ে আঠালো পুঁজ বের হয়, সকালবেলা চোখ খুলতে না পারেন, প্রচন্ড মাথা ব্যাথা সাথে জ্বর হলে , চোখে ঝাপসা দেখা গেলে কিংবা এক সপ্তাহের মধ্যে রোগীর কোন উন্নতি না হলে।

Post a Comment

0 Comments