জনবান্ধবে পরিণত হয়েছে অম্বিকাগঞ্জ ভূমি অফিস----




প্রথমবারের মত ময়মনসিংহ সদর উপজেলা ৪নং -পরানগঞ্জ ইউনিয়নের অম্বিকাগঞ্জ ভূমি অফিসে সব ধরণের জনদূর্ভোগ রোধ হয়ে অফিসটি বর্তমানে জনবান্ধব অফিসে পরিণত হয়েছে। এতে অফিসের অতীতের চেয়ে সব ধরণের সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। অফিসে আর আগের মত জনগণের ভিড় দেখা যায় না। নেই কোন বস্তাবন্দী ফাইল। নেই কোন অনিয়ম ও দুর্নীতি। সরজমিনে গিয়ে জানাগেছে- অফিসে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে যথেষ্ট পারিশ্রমিক দিতে হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়মিত কাজ করে এ স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের কাছে বর্তমান জনবান্ধব হিসাবে পরিচিতি সহকারী  (ভূমি) কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম তবে তার সততা, দক্ষতা ও কর্মনিষ্ঠার কথা শোনা জায় বিভিন্ন মহলে। পরানগঞ্জ ভূমি অফিসে যোগদানের পর থেকেই উন্নয়নে সহকারী  (ভূমি) কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম কর্মতৎপরতা ও সৃজনশীলতার মাধ্যমে বিষয়টি ফুটে উঠেছে এক্ষেত্রে সেবাগ্রহিতারা ভূমি অফিস থেকে সরাসরি ও খুব সহজেই ভূমি সেবা পেয়ে যাচ্ছে ভূক্তভোগীরা। 

ভূমি কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান টিনসেট ঘর করনের জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট আবেদন করেন এবং প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে ভূমি অফিসে নামজারি খারিজসহ অন্যান্য সেবা খুব সহজেই পেয়ে যাচ্ছে। এছাড়া কোন ব্যক্তি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে হাতের মুঠোয় তার ভূ-সম্পত্তির হিসাব করতে পারছেন। অপরদিকে ই-নামজারী সিস্টেমের মাধ্যমে জনগণ ঘরে বসেই নামজারির খারিজের আবেদন করতে পারছেন। যা বর্তমান সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এছাড়াও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের মৌজা অনুযায়ী সুবিন্যাস্তভাবে সাজিয়ে তা সুচিপত্র তৈরি শেষে ভলিউম আকারে বাঁধাই করা হয়ে থাকে । তাছাড়াও কম্পিউটারে স্ক্যান করে স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা হয়। 

এতে যেকোন নাগরিক জমির খতিয়ান যাচাই বাছাই করতে পারবেন কিংবা জমি ক্রয়ের পূর্বে স্বত্ব যাচাই করতে চাইলে খতিয়ান বা নামজারি কেস নম্বর দিয়ে সহজেই যাচাই করতে পারছেন ভূক্তভোগীরা। অন্যদিকে কোন নাগরিক তার চাহিদা মোতাবেক খারিজ খতিয়ানের জাবেদা কপি রেকর্ডরুমের মাধ্যমে দ্রুত পেয়ে যাচ্ছে। এছাড়া আবেদনের সময় সংযুক্ত কোর্ট জালিয়াতি রোধে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কর্মতৎপরতা উল্লেখযোগ্য রয়েছে। তিনি লেজার দিয়ে কোর্ট ফি যাচাই করে আবেদনপত্র গ্রহণ করেন। ফলে কোর্ট ফি হতে সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে। 

অন্যদিকে জনগণ কোর্ট ফি জালিয়াতির প্রতিরোধ হচ্ছে। তাছাড়া আবেদন ফরম ও কোর্ট ফি সেবাগ্রহিতাদের সহজী করণের লক্ষে উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। একজন সেবাগ্রহিতা অফিসের সততা স্টোরের নির্ধারিত মুল্যে আবেদন ও কোর্ট ফি নিজেরাই নিতে পারছেন।  এছাড়াও অফিসের সামনেই টাঙানো হয়েছে সিটিজেন চ্যাটার। এর মাধ্যমে সেবা গ্রহিতারা ভূমি অফিসের যেকোন নিয়ম-কানুন, খাজনা-খারিজ, পর্চা, রেকর্ড সংশোধন, জমি সর্ম্পকিত যাবতীয় তথ্য দেয়া আছে। ফলে সেবাগ্রহিতারা আর অফিসে সময় ও অর্থ খরচ না করে সিটিজেন চ্যাটার দেখে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছেন। সহকারী (ভূমি) কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম যোগদানের পর থেকেই জমি সংক্রান্ত ক্ষেত্রে সেবাগ্রহিতারা ভূমি অফিস থেকে সরাসরি ও খুব সহজেই ভূমি সেবা পেয়ে যাচ্ছে। ফলে অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সহ অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে কাজ শুরু করে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এই কাজগুলি সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার হচ্ছে জনগণের সেবক এবং আমরা সরকারে অংশ হিসাবে জনগণের ভূমি সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে শতভাগ নিশ্চিত করবো ইনশাল্লাহ।

Post a Comment

0 Comments