নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান আবারো প্রমান করে দিলেন কিভাবে নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করতে হয়। যে কোন বড় ঘটনার হওয়ার আগেই তিনি বুজতে পারেন এবং সবাইকে সর্তক থাকতে বলেন।
শামীম ওসমান ছাড়া নারায়ণগঞ্জ আওয়ামিলীগ অচল তিনি তা বার বার প্রমান করে দেখিয়ে দিয়েছেন। জেলা পরিষদ এর নির্বাচন অনেক জল্পনা কল্পনা ছিলো হেভিওয়েট দুইজন আওয়ামিলীগ এর প্রার্থী ছিলেন মহানগর আওয়ামিলীগ এর সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং জেলা আওয়ামিলীগ এর সভাপতি আব্দুল হাই কিন্তু বাজিমাত করে দিলেন শামীম ওসমান চন্দন শীল কে জেলাপরিষদ এর চেয়ারম্যান প্রার্থী করে।
মহানগর আওয়ামিলীগ এর সভাপতি আনোয়ার হোসেন সাবেক জেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান ছিলেন তার পক্ষে মেয়র আইভী,মন্ত্রী গাজী, এম,পি বাবু থাকা সত্তেও শামীম ওসমান এর কারিশমাতে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী হলেন বাবু চন্দন শীল। একজন সাদাসিধা মানুষ যার ভিতরে কোন অহংকার নেই ১৬ জুন বোমা হামলায় পা হারিয়েও দলের জন্য রাজপথে ছিলেন।সেই বোমা হামলার টার্গেট ছিলো শামীম ওসমান কিন্তু কথায় আছে রাখে আল্লাহ মারে কে নেতাকর্মীদের দোয়ায় বেঁচে জান তিনি।কিন্তু তার বিশজন নেতাকর্মী মারা যায়, তিনি সহ অনেক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন, ২০০১ সালে চার দলীয় জোট সরকারের আমলে তিনি দেশের বাইরে ছিলেন,দেশের বাইরে থাকা কালিন অবস্থায় তিনি সব সময় নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ রাখতেন।
২০০৬ সালে যখন তিনি দেশে আসেন কয়েক লক্ষ নেতাকর্মীর একটি সমাবেশ এ অবস্থান করেন তিনি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেফতার করতে গেলেও নেতাকর্মীদের জন্য তাকে গ্রেফতার করতে পারেন নেই। তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছে এখনো তিনি রিয়েল হিরো। কারন তিনি জানেন কিভাবে নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করতে হয়।
সেই মূল্যায়ন এর একটি চিত্র চন্দন শীল দলের জন্য যার অবদান অনেক, দুই পা হারিয়েও তিনি দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন, এবং রাজপথে সব সময় থাকতেন। কয়েকটি অনলাইনে সাক্ষাৎকারে আবেগপ্রবণ হয়ে চোখের পানি ফেলে তিনি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শামীম ওসমান এর প্রতি। এবং তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শামীম ওসমান এর জন্য দেশ বাসির কাছে দোয়া চান।
0 Comments