বন্দরে অটোরিকশা চালক ফেরদৌসকে গলা কেটে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার মূল হোতা রাকিবকে (২০) গ্রেফতার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার বন্দরের মদনগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রাকিবের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বন্দরের কান্দিপাড়া এলাকার একটি পুকুর থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছোরাটি উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত রাকিব বন্দরের বুরুন্দি বালতি পাড়া এলাকার সামসুদ্দিনের ছেলে। অভিযানের সময় পালিয়ে যায় রাকিবের সহযোগী। উল্লেখ্য, গত রোববার রাতে বন্দরের কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কান্দিপাড়া কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন বালুর মাঠে অটোরিকশা চালক ফেরদৌসকে গলাকেটে হত্যা করে অটোরিকশাটি নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। সোমবার সকালে ফেরদৌসের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর নিহত ফেরদৌসের বাবা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে সোমবার রাতে বন্দর থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা কয়েক জনকে আসামী করা হয়।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা জানান, গ্রেফতারকৃত রাকিব পুলিশের কাছে অটোরিকশা চালক ফেরদৌস হোসেনকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে। বুধবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে র্যাব প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামী রকিব তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু সিবলু'র সাথে একটি অটো চুরির পরিকল্পনা করে। ভিকটিম যে গ্যারেজে তার অটো রাখে সেই গ্যারেজে আসামী রকিব সহকারী হিসাবে কাজ করে। রকিব উক্ত গ্যারেজে অটো ভাঙ্গা ও মেরামতের কাজ করতো। ঘটনার দিন আসামী রকিব পরিকল্পনা অনুযায়ী ভিকটিমকে নিয়ে তার অটোযোগে ঘটনাস্থলে যায় এবং অপর পলাতক আসামি সিবলু তার সহযোগীদের নিয়ে রকিবের সাথে যোগ দেয়। আসামীরা সকলে মাদক ও উত্তেজক দ্রব্য সেবন করে এবং ভিকটিমকে অন্যান্যদের সহায়তায় আসামী রকিব ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী রকিব উক্ত হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেন। উক্ত হত্যাকান্ডে সম্পৃক্ততা পাওয়ায় অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অপর এক সন্ধিগ্ধ আসামীকে তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হন্তান্তর করা হয়েছে। হত্যাকান্ডে জড়িত অন্য আসামীদের গ্রেফতারে র্যাব-১১, সিপিসি-১ তৎপর রয়েছে।
0 Comments