নিজেদের আড়াই বছর বয়সী পুত্র সন্তান শেহজাদ খানকে আগলে রাখলেও একসঙ্গে নেই শাকিব খান ও শবনম বুবলী। ঢাকাই সিনে অঙ্গনে কান পাতলেই এমন খবর শোনা যাচ্ছে!
সত্যিই কি শাকিব-বুবলীর সম্পর্ক আর টিকছে না? খবরটি এই তারকা জুটি আনুষ্ঠানিকভাবে জানাননি। কিংবা তাদের ঘনিষ্ঠজনেরাও এ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন! তবে গণমাধ্যমে এমন গুঞ্জন চাউর হয়েছে, যে কোনোদিন ‘বিচ্ছেদ’ নিয়ে শাকিব-বুবলীর পক্ষ থেকে আসতে পারে ঘোষণা।
বারবার মিডিয়াকে এড়িয়ে গেলেও অবশেষে বিচ্ছেদের গুঞ্জনে পানি ঢেলে দিলেন বুবলী নিজেই। একটি জাতীয় দৈনিকের কাছে জানিয়েছেন তাদের বিচ্ছেদ হওয়ার খবর আসলে গুজব।
বুবলি বলেন, এ ধরনের গুজবের খবর খুবই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা হচ্ছে, যার কোনো ভিত্তি নেই। দেখুন, আমাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হলে এখন কেন আমরা আমাদের বিয়ে আর সন্তানের বিষয়টি সামনে আনব? তাহলে তো আট মাস আগেই আনতাম। আসলে কে বা কারা এ ধরনের ভিত্তিহীন গুজব ছড়াচ্ছেন তা বোধোগম্য নয়।
চিত্রনায়িকা শবনম বুবলি আরও বলেন, আমাদের সন্তানের বিষয়টি সামনে আনার পর থেকে নানা ভিত্তিহীন গুজব অনেকে সামনে এনে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে চাইছেন যা আসলে ঠিক নয়। আমরা বিয়ে করেছি, সন্তান পৃথিবীতে এসেছে সুন্দর একটি পরিবারের জন্য। সুন্দরভাবে সংসার করার জন্য, বিচ্ছেদের জন্য নয়। কাজেই এ ধরনের খবরের কোনো ভিত্তি নেই।
বর্তমানের কাজের বিষয়ে তিনি বলেন, এখন বিএফডিসি প্রযোজিত সরকারি অনুদানের ‘চাদর’ সিনেমার শুটিং করছি ঢাকায়। জাকির হোসেন রাজু স্যার খুব সুন্দরভাবে গুছিয়ে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আশা করছি, দর্শক চমৎকার গল্পের একটি সিনেমা দেখতে পাবেন।
নিজেদের হানিমুন প্রসঙ্গে এই অভিনেত্রী বলেন, বিয়ের সময় এবং বিয়ের পরও কিন্তু আমাদের টানা শুটিং চলছিল। তাই শুটিংয়ের জন্য দেশ-বিদেশের অনেক জায়গায় যাওয়া হলেও আলাদা করে হানিমুনের সময়টা আমাদের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বের করাটা সম্ভব হচ্ছিল না। লাস্ট টাইম (গত বছর) আমেরিকায়ই হানিমুনের ঘোরাঘুরিটা হয়েছে। তাই বলতে পারেন বিয়ের পর আমাদের হানিমুন আমেরিকায় হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সবশেষ পহেলা অক্টোবর ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ‘লিডার-আমিই বাংলাদেশ’ সিনেমার গানের শুটিং স্পটে শাকিব খান ও বুবলিকে একসঙ্গে দেখা যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বুবলীর দেওয়া তথ্যমতে, শাকিব খানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে ২০১৮ সালের ২০ জুলাই। ২০২০ সালে ২১ মার্চ শেহজাদ খান বীরের জন্ম হয়।
এর আগে, শাকিবের খান ও অপু বিশ্বাসের বিচ্ছেদ হয় ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি। তাদের ১০ বছরের সংসারে আব্রাম খান জয় নামে এক ছেলে আছে।
0 Comments