আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী মোঃ সাইদুর রহমান জীবন (৪০), পিতা- মোঃ বাদল, মাতা- শাহানাজ বেগম, সাং- মসিনাবন্দ পূর্ব, গোগনগর, থানা ও জেলা-
নারায়ণগঞ্জ থানায় হাজির হইয়ে এই মর্মে বিবাদী ১। টিপু (৩৫), ২। বাপ্পি (৪৫), পিতা-
আজমির, উভয় সাং- মসিনাবন্দ পশ্চিম (আউয়ালের গুদারা ঘাট),
নারায়ণগঞ্জগণ সহ অজ্ঞাতনামা ১৩/১৪জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, ২নং
বিবাদী বর্তমানে গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার। ১নং বিবাদী সহ
অজ্ঞাতনামা একটি গ্যাং এলাকায় প্রভাব বিস্তার করিয়া ২নং বিািবদীর নির্দেশে ছিনতাই,
চাঁদাবাজী সহ নানা ধরনের অবৈধ মাদকের ব্যবসা পরিচালনা করে। বিবাদীগণের ভয়ে
স্থানীয় কোন লোকজন কিছু বলিতে পারেন না। অদ্য ১১/১০/২০২২ইং তারিখ সন্ধ্যা
অনুমান ০৫:৩০ ঘটিকার সময় মুক্তারপুর হইতে অটো রিক্সায় করে বাসায় যাওয়ার পথে
গোগনগর মসিনাবন্দ কবরস্থানের সামনে পৌছালে দেখতে পাই যে, বর্ণিত বিবাদীগণ একটি
ট্রাক থামিয়ে চাঁদাবাজি করাকালীন সময়ে আমি অটো থেকে নেমে বিবাদীগণকে বাধা
দেওয়ায় ২নং বিবাদী আমাকে নানা ধরনের ভয়-ভীতি দেখাইয়া ঘটনাস্থল হইতে চলিয়া
যেতে বলিলে আমি আইনত সহযোগীতার জন্য ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে পুলিশের সহায়তা
চাইলে ২নং বিবাদী শুনতে পাইয়া নির্দেশ প্রদান করিলে অজ্ঞাতনামা বিবাদীগণ লিটনের
ওয়ার্কশপ সংলগ্ন পাকা রাস্তাতে ঘিরে এলোপাথারী লাথি ঘুশি মারতে শুরু করে।
মারধরের
একপর্যায় ১নং বিবাদীর কোমরে থাকা পিস্তল বাহির করিয়া আমার বড় ধরনের ক্ষতি
সাধনের লক্ষ্যে পিস্তলের গোরা দিয়ে বারি মেরে ঠুটের ভিতরের অংশে মারাত্মক কাটা
রক্তাক্ত জখম করলে আমি সাথে সাথে পাকা রাস্তার উপর পড়ে গেলে ২নং বিবাদীর আপন
ছোট ভাই অজ্ঞাতনামা বিবাদীর হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে পায়ের রগ
কেটে ফেলার চেষ্টাকালে ধারালো ছুরির আঘাতে ডান পায়ের গোরালির নিচের অংশে
মারাত্মক কাটা রক্তাক্ত জখম করে।
আমি রক্তাক্ত অবস্থায় পাকা রাস্তায় পড়ে থাকলে ২নং
বিবাদীর হাতে থাকা কাঠের লাঠি দিয়ে বারি মারিয়া মাথার অভ্যন্তরে মারাত্মক নীলা ফুলা
রক্তজমাট জখম করে এবং আমার পেন্টের পকেটে থাকা নগদ ২,১০,০০০/- টাকা ও ডান
হাতের মধ্যমা আঙ্গুলে থাকা ৬আনা ওজনের স্বর্নের আংটি ছিনিয়ে নেয় বিবাদীদ্বয়। আমার
আত্মচিৎকারে আশে পাশের লোকজন আগাইয়া আসিতে দেখিয়া ১নং বিবাদী আমাকে ভয়-
ভীতি ও ভবিষ্যতে তাহাদের বিষয়ে বারাবারি করিয়ে গুম খুন করার হুমকি প্রদান করিয়া
ঘটনাস্থল হইতে চলিয়া যায়।
পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন আমাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার
করিয়া ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। চিকিৎসাকালে আমার
ঠুটে ০৬(ছয়) ও পায়ে ০৪(চার)টি সেলাই বাধা হয়। আমি গুরুত্বর অসুস্থ্য হয়ে যাই।
1 Comments
এই চাঁদাবাজদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই
ReplyDelete