মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখে শুনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের হত্যার প্রতিবাদে প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশ নেওয়া নাসিম ওসমানের নাম এখন মানুষের মুখে মুখে





মাহমুদুল ইসলাম সৌরভ 


মরহুম আলহাজ্ব এ কে এম নাসিম ওসমান। বাংলাদেশের প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের মধ্যে অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবার ওসমান পরিবার। এই পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা খান সাহেব এম ওসমান আলী এম . এল . এ। খান সাহেব ওসমান আলীর ছেলে সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাষা সৈনিক একেএম শামসুজ্জোহার বড় ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম এ কে এম নাসিম ওসমান। নানা  কারণেই মরহুম সংসদ সদস্য এ কে এম নাসিম ওসমান একজন আলোচিত রাজনীতিবিদ ছিলেন তবে গতকাল ১০ই অক্টোবর শীতলক্ষা নদীর ওপর নির্মিত তৃতীয় শীতলক্ষা সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রয়াত জননেতা একেএম নাসিম ওসমান এর প্রশংসা করে যে আবেগ বক্তব্য দেন তারপর থেকে সারাদেশের মত নারায়ণগঞ্জের মানুষের মুখে মুখে এখন নাসিম উসমানের নাম। বিশেষ করে কেন সেতুর নাম মরহুম এ কে এম নাসিম উসমানের নামে হল তারও চমৎকার ব্যাখ্যা দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন ভাবগাম্ভীর্য ভাবে বর্ণনা দেন নাসিম ওসমানের বিয়ের তারিখ ছিল ১৪ই আগস্ট। শেখ কামাল ছিল নাসিম ওসমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। নাসিম ওসমানের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে মধ্যরাতে বাড়ি ফিরে শেখ কামাল। আর সেই কাল রাতেই খুনির দল বঙ্গবন্ধু সহ সবাইকে সপরিবারে হত্যা করে। বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমান নতুন বউকে রেখে জাতির পিতার হত্যার প্রতিশোধ নিতে প্রতিরোধ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। নাসিম ওসমানের অবদান আমরা সব সময় মনে রাখবো। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন নাসিম ওসমান আমাকে সব সময় বড় বোনের মত সম্মান করতো। এই শীতলক্ষা ব্রীজ নির্মাণের জন্য আমাকে বহুবার তাগাদা দিয়েছে। তাই সঙ্গত কারণেই নাসিম ওসমানের নামে এই সেতুর নামকরণ করা হয়। দেশের একজন প্রধানমন্ত্রীর মুখে নাসিম ওসমানের বীরত্ব গাথা ও প্রশংসা শুনে টেলিভিশনের পর্দার সামনে লক্ষ কোটি মানুষ হত বিহব্বল হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নাসিম ওসমান ছাড়াও তার দাদা খান সাহেব ওসমান আলী তার পিতা মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাষা সৈনিক এ কে এম শামসুজ্জোহা সাহেবের ও ভুয়সী প্রশংসা করেন এখন হাটে বাজারে চায়ের দোকানে ঘরে বাইরে সর্বত্র শুধু নাসিম ওসমানের নাম।

Post a Comment

0 Comments