নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে কাঁচপুর সেতুতে মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো-চ-১৬-০১৩০) এর সঙ্গে উল্টো পথে যাওয়া ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। পুলিশ ও জনতা আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে গেলে নুর উদ্দীন (৪৫) নামে অটোরিকশার এক যাত্রী মদনপুরের আল-বারাকা হাসপাতালে মারা যান।
এছাড়াও আহত আরো কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে সেখানে আরও চারজনের মৃত্যু হয়। ঢাকা মেডিকেলে নিহতদের মধ্যে অটোরিকশা চালক হানিফ (৩৩), যাত্রী মামুন (৩০) ও জামাল মিয়া (৪২) এর নাম জানা গেলেও একজনের পরিচয় অজ্ঞাত রয়েছে।
রোববার (৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর সেতুর পশ্চিমাংশে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনার পরপরই মাইক্রোবাস চালক পালিয়ে যায়। কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ মাইক্রোবাস ও অটোরিকশাটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ৪ জনের মরদেহ রয়েছে।
ঘটনার প্রতক্ষদর্শী মো. ইউসুফ বলেন, কাঁচপুর সেতু দিয়ে ৭/৮ জন যাত্রী নিয়ে উল্টো পথে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটি যাচ্ছিল। এসময় ঢাকাগামী একটি মাইক্রোবাস ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোতে থাকা সবাই আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ মহাসড়কে নিষিদ্ধ থ্রী হুইলার, সিএনজি ও অটোরিক্সা অবাধে চলাচল করলেও কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ এর কোনো প্রতিকার না করায় এ প্রানহানীর ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান তারা।
নারায়ণগঞ্জ কাঁচপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নবীর হোসেন জানান, কাঁচপুর সেতুতে উল্টো পথে আসা অটোরিকশাকে ঢাকাগামী মাইক্রোবাস ধাক্কা দেয়। এতে স্থানীয় হাসপাতালে নুর উদ্দিন (৪৫) নামে এক ব্যক্তি ও ঢাকা মেডিকেলে চারজন মারা যান।
এই ঘটনায় ৬ থেকে ৭ জন আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ঘটনার পরপরই মাইক্রোবাস ও অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে। তবে মাইক্রোবাস চালক পালিয়ে গেছে।
0 Comments