র্যাব-১১ ও র্যাব-১৫ এর যৌথ অভিযানে চাঞ্চল্যকর জাকির হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামী গ্রেফতার
র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই র্যাব সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার,
মাদক ও ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর এবং আলোচিত অপরাধের অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
নিবিড় গোয়েন্দা নজরদারী ও পরিকল্পিত আভিযানিক
কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় অপরাধী গ্রেফতার এবং আইনের আওতায় এনে র্যাব ইতিমধ্যেই
জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের পলাতক আসামীদের
গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে র্যাব নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
উল্লেখ্য যে, গত ০৫/০৫/২০২০ তারিখ রাত অনুমান ১০.৩০ ঘটিকার সময় বাদীর বড় ছেলে
অন্তু (২৬)কে বাদীর বসত বাড়ি হইতে এজাহার নামীয় ১৬ নং আসামী ডাকিয়া ০১ নং
আসামীর গরুর ফার্মে নিয়ে দুধের সহিত বিষ জাতীয় দ্রব্যাদি মিশ্রন করে বাদীর ছেলে
অন্তুকে হত্যা করেছিল। এ বিষয়ে ফতুল্লা থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয় উক্ত মামলায়
০১ নং আসামী ০১ মাস ১৩ দিন জেল খেটে জামিনে মুক্তি পায়। জামিনে বের হয়ে আসার পর
আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৬/০৯/২০২২ তারিখ ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলি ফেরীঘাট হতে বাদীর
স্বামীকে অপহরন করে ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলী সাকিনস্থ ০২ নং আসামী রশিদের অফিসে
নিয়ে যায় এবং বাদীর কাছে মুক্তিপন দাবী করে। মুক্তিপন না দিলে বাদীর স্বামীকে মেরে ফেলার
হুমকী প্রদান করে। পরবর্তীতে ১৯/১০/২০২২ তারিখে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন
বাগপাড়া ব্রীজের ৫০ গজ উত্তরে ব্র²পুত্র নদের কিনারে কচুরিপানার নিচ হইতে ভিকটিম
জাকির হোসেনের মৃত দেহ পাওয়া যায়। এজাহারনামীয় আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে
ভিকটিমকে অপহরন করার পরে পা বেধেঁ ও গলায় তাহার পরনে শার্ট পেচিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা
করে। এই পাশবিক ও নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনা বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও মিডিয়ায় প্রকাশিত
হলে নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী খোরসেদা বেগম বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানায়
একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-২৯ তারিখ ২১/১০/২০২২ইং। মামলা হওয়ার পর
থেকেই হত্যাকারীরা কৌশলে আত্মগোপন করে বিভিন্ন এলাকায় পালিয়ে গিয়েছিল।
মর্মান্তিক এই হত্যাকান্ডের প্রেক্ষিতে র্যাব একটি ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং নৃশংস
হত্যা
0 Comments