নিজস্ব সংবাদদাতা //
নারায়ণগঞ্জ জেলা বন্দরের ক্ষমতাসীন দলের প্রায় ডজন খানিক নেতা আছে যাদের সাংগঠনিক ভীত বেশ শক্তিশালী ও কর্মীবন্ধব। দেশ, দল ও সংগঠনের দিকে বেশ বিচক্ষণ এ নেতাদের গতিবিধিও পরিবর্তনশীল। তবে সংগঠনের প্রয়োজনে জেলাকে বেশ সার্পোট দেয়ার ক্ষমতা রাখে এ সকল নেতারা। শুধু মাত্র দলের নির্দেশ এলে যেকোন সময় সক্রিয় ভূমিকা পালন করে রাজপথ গরম করে দখলে নেয়ার ক্ষমতা রাখে। যারা একেবারে তৃনমূল হতে রাজনৈতিক ভাবে আন্দোলন, সংগ্রাম পূর্বক নানা প্রতিকূলতার সাথে এখনো লড়াই করে রাজনীতিতে সক্রিয়। সরকার দলীয় এ সকল ত্যাগী, কর্মীবান্ধব নেতার মধ্যে অনেকে জনপ্রতিনিধি বনে গেছেন। অনেকে নিজ দলের কুটচালে জনপ্রতিনিধিত্ব হারালেও রাজপথে সক্রিয়। তাদের রাজনৈতিক চিন্তাধারা ও দূরদর্শিতা অন্য সকল সিনিয়র নেতাদের মাথায় আসার আগেই করতে সক্ষম হয়। বিগত চারদলীয়জোট সরকার আমলে নানা নির্যাতন, হামলা মামলার শিকার হয়েও রাজনৈতিক মাঠে আপোষহীন নেতাদের তালিকায় বনে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির প্রতীক এ সকল নেতারা পদ পদবীর চেয়ে সাংগঠনিক বিষয়টি বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। যারা প্রত্যেকেই চারদলীয়জোট সরকারের চরম আগ্রাসনের শিকার। দল ক্ষমতায় থাকলে যেমন সক্রিয় ঠিক দল ক্ষমতায় না থাকা অবস্থায়ও ছিল বেশ সক্রিয়। বন্দরের রাজনৈতিক পরিবেশের যেকোন সময় পরিবর্তনের ক্ষমতা ও দক্ষতা রাখে। তারা রাতের আধারেও সংগঠনের প্রয়োজনে হাজারো নেতাকর্মী নিয়ে রাজপথে নামার ক্ষমতা রাখে। তাদের অধিকাংশই উদীয়মান বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ও রাজনৈতিক গঠনতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোসহীন নেতাদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন কবির মৃধা।
বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম, যুবলীগ নেতা খান মাসুদ, বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য মাসুম আহম্মেদ,মহানগর শ্রমিকলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনু, মহানগর সেচ্ছাসেবকলীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধান, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, মাহবুবুর রহমান কমল, বন্দর থানা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস আই জুয়েল, কদম রসুল পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন জনি, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি রাজু আহমেদ সুজন, যুবলীগ নেতা মোঃ সুমন মিয়া, ফারুক প্রধান, মাসুম আহম্মেদ প্রমুখ।
মহানগর আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন কবির মৃধার পারিবারিক সূত্রে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সূচনা। যার পিতা আশোক আলী মৃধা ছিলেন ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার অপরাধে নানা নির্যাতন, কারাভোগসহ কনকনে শীতের রাতেও বিলের মধ্যে থাকতে হয়েছে। নানা চড়াই-উতরাই ও গায়েবি মামলার আসামী হয়ে ফেরারি জীবন যাপনেও পিছু হঠাতে এ নেতাকে।
বন্দরে ক্ষমতাসীন দলের যে গুটি কয়েকজন নেতা আছে তাদের মধ্যে একজন এম এ সালাম। যারা পারিবারিক ভাবে মুক্তিযোদ্ধের স্ব-পক্ষের শক্তির রাজনীতিতে সক্রিয়। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতে গিয়ে বন্দরের যে সকল নেতারা ত্যাগ স্বীকারসহ নানা নির্যাতন হামলা-মামলার শিকারে পিছু হঠাতে পারেনি তাদের মধ্যে এম এ সালাম উল্লেখ্য যোগ্য।
স্কুল জীবন থেকে ছাত্র রাজনীতিতে পর্দাপন করে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে ছিল যার বিশেষ কৌশল ও বিশেষত্ব। ছাত্রলীগের রাজনীতিতে বন্দর থানা কমিটির সহ সভাপতি পদে পদায়িত হয়ে আরো কঠোরভাবে সক্রিয় হন। চারদলীয়জোট সরকারের সময়ে বিরোধীদের কোন প্রকার ছার বা আতাতের রাজনীতি করার কোন কালো ছায়া তাকে গ্রাস করতে পারেনি। বন্দরের উত্তরাঞ্চল খ্যাত মদনপুর ইউনিয়ন। ঢাকা-নারায়নগঞ্জ মহাসড়ক এ ইউনিয়নের উপর দিয়ে চলমান। ঢাকার সাথে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের যোগাযোগের মাধ্যম ওই মহাসড়ক। ছাত্র জীবন হতে রাজপথে সক্রিয় থেকে এম এ সালাম মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় একজন তরুন উদীয়মান নেতা বনে যান। সেই এম এ সালাম ২০১১ সালে মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তরুন, মেধাবী রাজপথের ছাত্রলীগের নেতা থেকে ২০১১ সালে জনপ্রতিনিধি / জনগণের খাদেম বনে যান। সরকারি দলের রাজনৈতিক নেতা হওয়ার পরও চেয়ারম্যান এম এ সালাম ক্ষমতার অপব্যবহার করার মত কোন অভিযোগ পাওয়া না গেলেও দল ও সংগঠনের স্বার্থে এক আপোষহীন নেতা। রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব যথাযথ পালনের ১ যুগ গত হয়েছে ১২ নভেম্বর। সরকারের টানা ৩ মেয়াদে তিনিও চেয়ারম্যান হিসেবে হেট্রিক করেন। ২০১১ সালে দলীয় প্রতীক না থাকলেও পরের ২ বার দলীয়( নৌকা) প্রতীকে নির্বাচন করে বিজয়ী হন। দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের সময় তাকে কঠোর ও বিশেষ কৌশলে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন। যদিও দলের নেতাদের অনেকে প্রকাশ্য ও গোপনে গভীর এক মিশনে কাজ করেন। তাদের মিশন ছিল এম এ সালাম হঠাও। সামনে যার এগিয়ে যাওয়ার দূর্বার গতি তাকে আর দাবিয়ে রাখে কে?
নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম এ গাজী সালাম জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দল ও সংগঠনের গঠনতন্ত্রের দিকে আপোষহীন নেতা হিসেবে বনে যান। মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম যেন এক গর্জনশীল নেতা। বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনও করেন। ২০১৪ সালে নারায়ণগঞ্জ -৫ আসনের উপ নির্বাচনে সেলিম ওসমানকে বিজয়ী করাতে কেন্দ্র দখলসহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে হুমকি দিয়ে আলোচনায় আসেন এম এ সালাম। এখানেই শেষ না, মদনপুর কেওঢালায় ভোট কেন্দ্র দখল করতে চেষ্টা চালায় এমনকি অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে কেন্দ্র ছেড়ে দিতে বলেন। অন্যথায় কেউ মাথা নিয়ে যেতে পারবে না বলে পুলিশ সুপারকে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি দেশজুড়ে ছিল বেশ আলোচনায়। ছাত্র রাজনীতি দিয়ে রাজপথের বেশ আলোচিত ও সমালোচিতসহ এক হুংকারের নেতা এম এ সালাম। বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে কাউন্সিলে অংশগ্রহণ করেন এম এ সালাম। হার না মানা এম এ সালামকে নিয়ে দীর্ঘ সময় সিনিয়র নেতারা একান্ত আলাপ করেও সমাধানের পথ না পেয়ে মাগরিব নামাজের সময় তার নিজের উপর দায়িত্ব দিয়ে নামাজে যান তারা। নামাজের সময়কালে সমাধানের সিদ্ধান্ত না হলে কাউন্সিল হবে। নামাজের সময় রহমত হয় এম এ সালামের। এম এ সালামের সেক্রিফাইসে বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হন কাজিম উদ্দিন প্রধান। সম্মেলনের ৩ মাসের মধ্যে পুর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করার থাকলেও তা হয় ৩০ মাস পর। মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের নৌকা প্রতীক নিয়ে করলেও দলের অনেক নেতা প্রকাশ্য ও গোপনে তার/ দলের বিরুদ্ধে কাজ করে। এম এ সালাম হঠাও মিশনে যখন তারা ব্যস্ত, জনগনের ম্যান্ডেট আর তার রাজনৈতিক বিচক্ষণতার কৌশলে শত বাধা প্রতিকূলতা পেরিয়ে হেট্রিক বিজয়ী চেয়ারম্যান হিসেবে বনে যান আলহাজ্ব গাজী এম এ সালাম। বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতিও বটে। একজন এম এ সালাম রাজনৈতিক ও জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পালনে সফলতার ১ যুগ ছিল ১২ নভেম্বর।
যুবলীগ খান মাসুদ বন্দরের সরকার দলীয় রাজনীতিতে এক ব্রান্ডের নাম। সাংগঠনিক, গরীব ও অসহায় মানুষ এবং কর্মীদের হৃদয়ের স্পদন ও অক্সিজেন। রাজনীতি করতে গিয়ে ২০০১ সাল থেকে নানা অত্যচার,নির্যাতন সহ্য করে কর্মীবান্ধব নেতা হিসেবে বনে গেছেন। খান মাসুদ সাংগঠনিকভাবে তার ভীত এতটাই শক্তিশালী যে ২ ঘন্টার নোটিশে বন্দরে প্রায় ৮/১০ হাজার লোকের জমায়েত করতে পারে। বন্দর যতজন নেতা রয়েছে যে তাদের মিছিল না গেলে শহর বা বন্দরের অনেক সভাস্থলের চেয়ার খালি থাকে। সে সকল নেতাদের মধ্যে খান মাসুদ একজন।
বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা পরিষদের সদস্য ও ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ। ছাত্র রাজনীতি দিয়ে রাজপথে। ঢাকা কলেজে অধ্যায়নরত অবস্থায় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয়। চারদলীয়জোট সরকারের সময়ে নির্যাতিত এ নেতার অবস্থানটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে। এম এ সালাম, মাসুম আহম্মেদ, এস আই জুয়েলদের অবস্থান ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক ঘেঁষেই। সদ্য শপথ নেয়া জেলা পরিষদের সদস্য মাসুম আহম্মেদের রাজনৈতিক তীক্ষ্ণতাটাও বেশ। ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেয়েও আ'লীগের ঘাটিতে পরাজয়ের পরও ভেঙ্গে পড়েন নি। নিজ দলের কুটচালে পরাজয় বরন করার পর বাগিয়ে আনেন তার চেয়ে আরো বেশি। যার নামের পূর্বে শুধু চেয়ারম্যান বিশেষ ব্যবহার করা হলেও বর্তমানে তার উল্টো। জেলা পরিষদের সদস্য যেখানে বন্দর পেরিয়ে সদর উপজেলার মিলে ১২ টি ইউনিয়নে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদ বাগিয়ে আনেন। মাসুম চেয়ারম্যান এখন জেলা পরিষদের সদস্য ও বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। সামনে যার সুচিন্তা দলের স্বার্থে আপোষহীন গঠনতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মাসুম আহম্মেদ ইউনিয়ন কমিটি গঠন নিয়ে কঠোর অবস্থানে বলে জানা গেছে। বন্দরের ৫ টি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কমিটি দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কাউন্সিলের মাধ্যমে করার পক্ষে। তৃনমূলের দাবীর ক্ষেত্রে মাসুম আহম্মেদ কঠোর অবস্থানে। কোন পকেট কমিটি হতে দেয়া যাবে না। কর্মীদের সিদ্ধান্ত নিয়ে নেতা নির্ধারন করতে হবে অন্যথায় চরম বিস্ফোরণ ঘটবে। যে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ঘাটি ছিল সেই ধামগড় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক শক্তি পূর্বের রুপে নিতে তিনি নিজেও ধামগড় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রার্থী। কাউন্সিল হতে হবে কোন পকেট কমিটি বা মুখ দেখে কিছু করলে বিন্দু পরিমান ছাড় দিতে নারাজ।
বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন পারিবারিক ভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয়। মুক্তিযোদ্ধা, সাংগঠনিক ও কর্মী সৃষ্টির কারিগরের ছেলে শাহাদাত হোসেন। চারদলীয়জোট সরকারের সময়ে হামলা,মামলায় জর্জরিত সেই শাহাদাত হোসেন যেমন ছিল বর্তমানেও তা। কর্মীবান্ধব একজন নেতা শাহাদাত হোসেন এমন একজন নেতা যে দলের টানা ৩ মেয়াদে ক্ষমতার আসনে থাকলেও বিন্দু পরিমান লোভ তাকে গ্রাস করতে পারেনি। দলের ক্ষমতার অপব্যবহার করার বিন্দু পরিমান কালো ছায়া তাকে ছুতে পারেনি।
মহানগর সেচ্ছাসেবকলীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল নিজ দলীয় নানা কুটকৌশলের মুখে পদ ও জনপ্রতিনিধিত্ব একই দিনে হারান। দল, সংগঠন ও জনগণের অনেক কাছের একজন প্রিয়মুখ খ্যাত সেই দুলাল প্রধানকে এক সাথে হোচট খেতে হয়। মনের দুঃখে ও কষ্টে নিজেকে কিছুদিন আড়ালে রাখলেও সেই রাগ ও অভিমানকে বেশিদিন ধরে রাখতে পারেননি। নিজের দুঃখ ও কষ্টকে শোকের মাস আগস্টে বিলিন করে দেন। জাতীয় শোক দিবসে রাজনীতির মাঠে ফের সক্রিয় অবস্থানে আসেন দুলাল প্রধান, মহানগর সেচ্ছাসেবকলীগ সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান কমল, কদম রসুল পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন জনি, ২০ নং ওর্য়াড যুবলীগ নেতা মোঃ সুমন মিয়া।
এ বিষয়ে সাবেক ছাত্রনেতা ফারুক হোসেন জনির বলেন, আমি জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত আদরের এবং আস্থার প্রতীক শামীম ওসমান ( এমপি) ভাইয়ের একজন কর্মী হিসেবেই বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করি। আমাদের মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন চাচা ও সাধারণ সম্পাদক কর্মীবান্ধব নেতা এড. খোকন সাহা অত্যান্ত অভিজ্ঞ, বিচক্ষণ। ঝিমিয়ে পড়া ২৪ নং ওর্য়াডের আওয়ামীলীগের গতিশীলতা বাড়াতে তারা সঠিক সিদ্ধান্তই নিবেন। কারন কমিটি হতে হবে নির্বাচনমুখী। বিএনপি জামায়াতের দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডকে রাজপথে থেকে মোকাবেলা করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর বিখ্যাত উক্তি "ভীতু ও কাপুরুষ লোকদের নিয়ে কাজ করতে গেলে দেশের ভালোর চাইতে ক্ষতিই বেশি হয়" এটা আমাদের নেতারা সবাই জানেন।আমাকে দায়িত্ব দিলে তা যথাযথভাবে পালন করবো। আর যদি না দেন তবুও আমি আমার দলের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে একচুল পরিমাণ নড়বো না। কারন আমি জননেতা শামীম ওসমানের একজন কর্মী হিসেবে বেশি গর্ববোধ করি। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করে রাজনীতি করি। রাজনীতি করি কোন কিছু চাওয়া পাওয়ার জন্য না। রাজনীতি করে আমরা বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় অনেক নির্যাতন, অত্যাচার, হামলার শিকার হয়েছি। নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারি নাই। বাড়িতে ঘুমাতেসহ পারিনি। কিন্তু আওয়ামীলীগ সরকার টানা ৩ মেয়াদে ক্ষমতার আসনে। কোন একজন বলতে পারবে না তাদের দিকে বাকা দৃষ্টিতে তাকিয়েছি। কারন আমি বিশ্বাস করি হামলা, মামলার বদলে মামলা না। যারা ওই সময় ক্ষমতার দাপট দেখিয়েছে তারাই এখন নিজেরা অনুতপ্ত হয়। এটার নামই আওয়ামীলীগের রাজনীতি। যেখানে হামলা- ভয়, সেখানে ভালবাসা দিয়ে তা অর্জন করতে হবে। সার্বিক বিশ্লেষণ ও সরজমিন তথ্য মতে ফারুক হোসেন জনির নেতৃত্বের পাল্লাই ভারী দেখা যাচ্ছে ২৪ নং ওর্য়াড আওয়ামীলীগে।
এদের প্রত্যকের সাংগঠনিক ভীত অনেকটা মজবুত। দলের প্রয়োজন রাজপথ দখলসহ যেকোন অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ক্ষমতা রাখে।
মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি রাজু আহমেদ সুজন তরুনদের মধ্যে একজন আইকন। দল টানা ৩ মেয়াদে ক্ষমতার আসনে থাকলেও কোন টেন্ডারবাজি বা দলের নামে কোন প্রকার সুবিধা নেয়ার মত বিন্দু পরিমান অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ২০০৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। হাজী সিরাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের নিজের বিঞ্জান পরিক্ষা রেখে বিএনপির অগ্নি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলনে যান। সেই সুজন দলের আদর্শের প্রতি অনুগামী একজন নেতা। দল ক্ষমতায় প্রায় ১৪ বছর এখনো পরিবারের খরচে তিনি রাজনীতি করে যাচ্ছেন। মহানগর ছাত্রলীগের নের্তৃত্ব দেয়ার মত দক্ষতা ও যোগ্যতা রয়েছে তার। ছাত্রলীগের রাজনীতি করলেও কোন প্রকার লোভ লালসা তাকে গ্রাস করতে পারেনি।
বন্দর থানা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের আহবায়ক মাসুম আহম্মেদ, ডালিম হায়দার, গোলাম সারোয়ার সবুজ, রাজু আহমেদরা বন্দরের ক্ষমতাসীন দলের একজন নিজেই ব্রান্ড। দলের হাইকমান্ডের নির্দেশ এলে যেকোন সময় বন্দরের রাজনীতিতে বেশ পরিবর্তন ঘটিয়ে রাজপথ দখলে নেয়ার ক্ষমতা রাখে তারা। ( পর্ব-১)
0 Comments