নড়াইলের বিছালী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ



মোঃ মঈনুল ইসলামঃ- খুলনা বিভাগ ব্যুরো প্রধান।




নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হিমায়েত হুসাইন ফারুকের বিরুদ্ধে ওই ইউনিয়নের ৮জন সদস্য বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ করেছেন । নড়াইল স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ ফখরুল হাসানের নিকট রবিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে অভিযোগপত্রটি জমা দিয়েছেন। অভিযোগপত্রের অনুলিপি সদর উপজেলার কয়েকটি দপ্তরেও  দেয়া হয়েছে।


নড়াইল জেলা প্রশাসক বরাবরে “নড়াইল সদর থানার ১২ নং বিছালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রসঙ্গে” লিখিত অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, বিছালী ইউনিয়ন পরিষদের ইউনিয়নের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত এলজিএসসপি, এডিবি, টিআর, কাবিটা, টিসিবি,  ভিজিডি, বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা সহ উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দুর্নীতির অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এসব নিজের ইচ্ছামতো ও পছন্দের লোক দিয়ে বাস্তবায়ন করছেন। পরিষদের ৮ জন্য সদস্যকে ডাকা হয় না।  মাসিক মিটিং বা রেজুলেশনও করা হয় না। বিভিন্ন ক্ষেত্রে এসব সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করা হয়। এছাড়া পরিষদের হোল্ডিং ট্যাক্স এবং ট্রেড লাইসেন্সের টাকা আদায় করে নিজেই আত্মসাৎ করেছেন। গত এক বছর যাবত তিনি নানা ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি করে যাচ্ছেন।


বিছালী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আলী ইমাম সরদার অভিযোগ করে বলেন, ‘অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গেলে চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে হামলার শিকারসহ বিভিন্নভাবে অপমান-অপদস্থ হতে হয়। চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী বাহিনী গত ৮ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে রুনদিয়া গ্রামের মনোর খাল এলাকার আলমের চায়ের দোকানে আমাদের কয়েকজন মেম্বরের ওপর হামলা চালিয়ে আমাদের এলোপাতাড়িভাবে মারধর করে। ফলে আহত হয়ে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করেছি এবং ঘটনা উল্লেখ করে নড়াইল সদর থানায় ৮জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছি।ঔ আবারও আমাদের ওপর হামলা হতে পারে এমন আশংকা করছি এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি।


অভিযোগের বিষয়ে বিছালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. হিমায়েত হুসাইন ফারুক বলেছেন, ‘নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ইউনিয়ন পরিষদের সব ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ স্বচ্ছতার সাথে করা হচ্ছে। কতিপয় ইউপি সদস্য সব কর্মসূচী বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু আমি রাজি হই না্ই। এ জন্য তারা আমাই বিভিন্ন ভাবে দোষারোপ করে।এবং চেয়ারম্যান হেমায়েত হুসাইন  ফারুক নিজ সাক্ষাৎকার বলেন সাত নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে জড়িত সে দীর্ঘদিন মাদক ব্যবসা করে আসছে এবং সেবন করে তাতে বাধা দেওয়ায় সে ক্ষিপ্ত  হয় এবং রুনদিয়া মনোর  খাল ওই এলাকার জনগণ জানাই এখানে প্রতিনিয়ত মাদক সেবন করা হয় আমি এদেরকে তীব্র নিন্দা জানাই এবং জাহাঙ্গীর ইউনিয়ন পরিষদ  উন্নয়নের প্রকল্প টাকা আত্মসাৎ করে  গত নির্বাচনের টার্মে। এবং মোঃ হাফিজুর রহমান চাল চুরির দেয় আটক হয় তাদের বিরুদ্ধে এরকম অনেক অভিযোগ আছে।

Post a Comment

0 Comments