এস.এম.শামীম দিঘলিয়া, খুলনা থেকে //
জমির দলিল রেজিস্ট্রির নামে ঘুষ গ্রহণ এবং নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার শুভ্রা রাণী বাড়ৈর বিরুদ্ধে আইন মন্ত্রণালয় তদন্ত শুরু করেছে। এ সব অভিযোগের তদন্তে বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র সহকারী সচিব সরেজমিন খুলনায় এসে তদন্ত করেন। এ সময় সাব-রেজিস্ট্রার শুভ্রা রাণী বাড়ৈসহ সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
খুলনা জেলা রেজিস্ট্রার দিপক কুমার সরকার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে তিনি উপস্থিত থেকে শুধু দাপ্তরিক দায়িত্ব পালন করেছেন। তদন্তের ফলাফল বা এ বিষয়ে এর বেশি কিছু তিনি জানেন না।
এর আগে তদন্তের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো খুলনার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয়ের নেজারত শাখার ম্যাজিস্ট্রেট-ইনচার্জ নয়ন বিশ্বাস স্বাক্ষরিত নোটিশে উল্লেখ করা হয়, দিঘলিয়া উপজেলার বাসিন্দা মো. ইনামুল শেখ গং দিঘলিয়া উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার শুভ্রা রাণী বাড়ৈর বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণসহ অনিয়ম ও দুর্নীতি সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিচার শাখা-১’র সিনিয়র সহকারী সচিব বরাবর দাখিল করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে একই মন্ত্রণালয়ের বিচার শাখা-৭’র ১৫ ডিসেম্বরের পত্রের আলোকে বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টায় খুলনার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সম্মেলন কক্ষে (৪র্থ তলা) তদন্ত কার্যক্রমে সকল প্রকার সাক্ষ্য ও দালিলিক প্রমাণসহ স্ব-শরীরে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক তদন্ত কমিটির সামনে সাব-রেজিস্ট্রার শুভ্রা রাণী বাড়ৈ, অভিযোগকারী মো. ইনামুল শেখ, দলিল লেখক ফেরদৌস লিটু, মো. মুরাদ হোসেন, শেখ আল-আমিন, কাইয়ূম মোল্লা ও মো. আমজাদসহ সাত জন উপস্থিত ছিলেন। তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিচার শাখা-৭’র সিনিয়র সহকারী সচিব মুরাদ জাহান চৌধূরী।
অভিযোগকারী মো. ইনামুল শেখ এ প্রতিবেদককে বলেন, তদন্ত কমিটি তার অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান। তিনি অভিযোগের স্ব-পক্ষে সকল প্রমাণসহ তথ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া অন্যান্যদের কাছেও এ বিষয়ে জেনেছেন তদন্ত কমিটি। সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্ত হলে তার অভিযোগ প্রমাণিত হবে বলে আশা করছেন তিনি।
0 Comments